সাপুরজির আবাসনের এনকাউন্টারে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে আগে জানা গিয়েছিল যে, সুমিত কুমারের নামে আধার কার্ড, প্যান কার্ড দিয়ে ফ্ল্যাট বুক হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত এগোতেই সামনে আসে যে, সুমুত কুমার আসলে ভুয়ো। ওই নামে আসলে কেউই নেই। সুমিত কুমারের নামে যে আধার কার্ড, প্যান কার্ড দেখিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয় তার প্রত্যেকটি নথিই জাল। সুখবৃষ্টির ফ্ল্যাট আসেল ভাড় নিয়েছিলেন হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা ভরত কুমার। তদন্তে জানা যাচ্ছে, ভরতই নাম জাল করে নিজেকে সুমিত কুমার বলে পরিচয় দিয়েছিল।
বুধবার দুপুরে ভরত কুমারকে গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিশ। তার কাছে পাওয়া যায় ভাড়ার চুক্তিপত্র। জেরায় পাঞ্জাব পুলিশকে ধৃত ভরত জানিয়েছে, গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লারদের যোগাযোগ অনেকদিনের। অনিল দুগ্গার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ভরতের। তার মাধ্যমে সাপুরজির ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন ভরত কুমার। ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তি করে হরিয়ানায় ফিরে যায় ভরত কুমার। সাপুরজিতে থেকে যায় জয়পাল ও জসসি।
পরিচয়পত্রের নথি নকলে আগে থেকেই হাত পাকিয়েছিলেন ভরত। এমনকী ঘোল খাইয়েছেন কলকাতা পুলিশকেও। । ফ্ল্যাট নেওয়ার আগে নিউটাউনের একটি হোটেলে উঠেছিল ভরত কুমার। জয়পাল ও তার সঙ্গী জসসি ছিলেন নিউটাউনেরই অন্য একটি হোটেলে। ২৩ মে ভুয়ো নথি দিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তি হওয়ার পর সাপুরজির ফ্ল্যাটে যায় জয়পাল। জয়পাল-জসসিদের বন্ধু বলে পরিচয় দেয় সুমিত ওরফে ভরত কুমার। চাকরির সূত্রে কলকাতায় বদলি হওয়ার দরুনই তাঁর ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে বন্ধু জয়পালরা থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন লিঙ্কম্যান ভরত।
আরও পড়ুন- New Town Encounter: নিহত দুই গ্যাংস্টারের পাকিস্তান যোগ! ফ্ল্যাটের আলমারিতে মিলল প্রমাণ
এরপর ২ জুন পাঞ্জাবে ফিরে যান ভরত কুমার। কিন্তু কলকাতা পুলিশের এসটিএফের নিখুঁত অপরেশনে দুই মোস্ট ওয়ানটেড গ্যাংস্টারের খোঁজ মিলতেই সবকিছু পরিস্কার হতে শুরু করে। পাঞ্জাব পুলিশ গ্রেফতার করে ভরত কুমারকে। তাঁর কাছ থেকে প্রচুর ভুয়ো পরিচয়পত্র, মোবাইল, সিম ক্রাড মিলেছে।
রাতে সাপুরজির ওই ফ্ল্যাটের ২ মালিককে জেরা করেছে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটের এক মালিক আকবর আলী পুলিশকে জানিয়েছে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ভাড় দিয়েছিলেন তিনি। ভাড়াটিয়ার তথ্য পুলিশকে ভেরিফিকেশনের জন্য দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই ফ্ল্যাটের মালিক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন