/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/20210629_222507_0000.jpg)
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে কমিশনের সদস্যরা।
ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে গিয়ে যাদবপুরে দুষ্কৃতী হামলার মুখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মঙ্গলবার এই অভিযোগ তুলেছেন কমিশনের সদস্যরা। যদিও কমিশনের সঙ্গে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয় এবং মহিলাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। এমনটাই পাল্টা দাবি তৃণমূলের। তবে সঠিক অভিযোগ যেটাই হোক, মঙ্গলবার দুপুরে দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুরের কেপিসি এলাকা। এই ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, যাদবপুরের কেপিসি এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কমিশনের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ঘরছাড়াদের একটা দল। কমিশন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় ৩০টির বেশি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই নিয়েও খোঁজখবর নিতে গিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তখনই নীলসঙ্ঘ এলাকায় কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা।
এই প্রসঙ্গে কমিশনের এক সদস্য জানান, ‘কলকাতা হাইকোর্ট যে কমিটি বানিয়েছে সেই কমিটির আমি সদস্য। হাইকোর্টের কাছে কিছু অভিযোগ ছিল, আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আমরা এখানে এসেছিলাম। আমরা দেখলাম ৪০টির বেশি ঘোরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেই পরিবার এখন ঘরছাড়া। সেই দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে, পুলিশের উপরেও হামলা চালিয়েছে। আমাদের মারার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের পরিস্থিতি যদি এমন হয়, সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? আমরা স্থানীয় থানাকে, জেলাশাসককে অভিযোগ করেছি। কেউ এসে উপস্থিত হয়নি। আমাদের সঙ্গে যদি কেউ না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কে থাকবে? এটা খুব আফসোসের বিষয়।‘ দেখুন শুভেন্দুর ট্যুইট:
A Court directed investigation being conducted by the National Human Rights Commission (NHRC) team, was attacked at Jadavpur. Democracy is going to the ruins in Bengal.
The State apparatus is hell bound on establishing dictatorship in WB.— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 29, 2021
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আমি তখন ছিলাম না। শুনেছি মানবাধিকার কমিশনের টিমের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। ওদের সঙ্গে কিছু বাইরের লোকও সেখানে ছিল। ওরা এলাকার লোকজনকে ধাক্কাধাক্কি করে। তারপর সেন্ট্রাল ফোর্স স্থানীয় মানুষজন বিশেষ করে মহিলাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় ৭ জন মহিলা জখম হয়েছে।" এই ঘটনায় পাল্টা ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, ‘আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্তে গিয়েছিল। যাদবপুরে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছে। বাংলায় গণতন্ত্র ধ্বংস হওয়ার পথে। রাজ্যের প্রশাসন বাংলায় স্বৈরাচার স্থাপনে উঠেপড়ে লেগেছে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন