JMB Militant Arrested: গত মাসেই খাস কলকাতা থেকে গ্রেফতার হয়েছে চার জেএমবি জঙ্গি। হরিদেবপুরের সেই ঘটনার তদন্তভার নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। সোমবার তাঁরা রিপন স্ট্রিটে এসটিএফ অফিসে যান। কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, আজই নথি এবং কেস ডায়রি হস্তান্তরের সম্ভাবনা। এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তাদের মধ্যে একজন ওই জঙ্গি সংগঠনের চাঁই এবং একজন লিঙ্কম্যান রয়েছেন।
এদিকে, গত মাসে হরিদেবপুর থেকে ধৃত ৩ জেএমবি জঙ্গিকে জেরা করে আরও দুই জনের হদিশ পেয়েছিল পুলিশ। এই দু’জনের মধ্যে একজন শেখ শাকিল এবং অপরজন সেলিম মুন্সি। এই সেলিম মুন্সি ধৃত জঙ্গিদের লিঙ্কম্যান হিসেনে কাজ করতেন। হরিদেবপুরে দু’টি ঘর ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই ঘর খুঁজে দিতে সাহায্য করেছিল হরিদেবপুরের বাসিন্দা মুন্সি। পাশাপাশি শেখ শাকিল ওই ৩ জনকে আধার কার্ড বানিয়ে দিয়েছিল। মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিল শাকিলই। পলাতক এই দু’জনের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে পরে একজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
অপরদিকে এসটি এফ সূত্রে খবর, জেএমবি-র বড় পান্ডা তাসলিমের নির্দেশেই রাজ্যে ঢুকেছিল তিন জঙ্গি। ধৃত ধৃত নাজিউর রহমান ওরফে জয়রাম ব্যাপারী, তার সহযোগী রবিউল ইসলাম এবং শেখ সাবীর ওরফে মিকাইল, এই তিনজন ফেরিওয়ালার বেশে এলাকায় রেকি করত। তলে তলে করত সদস্য এবং তহবিল সংগ্রহ। তিন জনের বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ এলাকায়।
জানা গিয়েছে, তদন্তে বাংলাদেশ পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে, জেএমবি শীর্ষ নেতা আলামিনের সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে হাতে লেখা ডায়রি-সহ মোবাইল এবং জেহাদি নথি উদ্ধার করেছে এসটিএফ। মোবাইল ঘেঁটে কলকাতা-সহ বাংলাদেশের কয়েকজনের নম্বর উদ্ধার হয়েছে। এমনকি, সোশাল মিডিয়ায় ধৃতদের অ্যাকাউন্ট ছিল।
প্রাথমিক অনুমান, ভারতের কয়েকজনে সাহায্যে শহরে ঘাঁটি গেড়েছিল ওই তিন জঙ্গি। শুধু সদস্য এবং তহবিল সংগ্রহ, না বড়সড় নাশকতা? নেপথ্যে কোন অভিসন্ধি খতিয়ে দেখছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এবার সেই তদন্তের দায়িত্বভার নিল এনআইএ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন