Advertisment

"বুঝছি না যথেষ্ট কিট থাকলেও বাংলায় কেন বেশি করে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না!"

কিন্তু কীভাবে সেই টেস্টিং করা হচ্ছে? কীভাবে আক্রান্তের সংখ্যা হিসেব হচ্ছে? দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেই কথাই জানালেন নাইসেড-এর ডিরেক্টর শান্তা দত্ত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে প্রশাসন। কিন্তু কেমন হচ্ছে করোনা পরীক্ষা? কীভাবেই বা আক্রান্তের হিসেব দেওয়া হচ্ছে? দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কথাই জানালেন কলকাতার কোভিড ভাইরাস পরীক্ষাকেন্দ্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিস (নাইসেড)-এর অধিকর্তা ডা: শান্তা দত্ত।

Advertisment

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানান হয়েছে যে টেস্টিং কিট কম থাকার জন্য র‍্যাপিড টেস্ট সম্ভব হচ্ছে না। নাইসেডে এখন ঠিক কত কিট আছে ?

র‍্যাপিড টেস্ট শুরু করতে শুক্রবারই আইসিএমআর থেকে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কিট। ৪২ হাজার ৫০০টি কিট পেয়েছে নাইসেড কলকাতা। এর মধ্যে ১২,৫০০টি কিট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এ রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলিতে।

কিন্তু তাহলে রাজ্যে এত স্বল্প সংখ্যক করোনা পরীক্ষার কারণ কী?

আমি জানি না এর কারণ। আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ কিট রয়েছে। আমাদের ল্যাবও প্রস্তুত আছে। দিনে আমরা অনায়াসে ২৫০টি টেস্ট করতেই পারি। আমরা চাইছি আরও বেশি পরীক্ষা হোক।

কোন পদ্ধতিতে নমুনা নথিভুক্ত করছেন আপনারা? পজিটিভ রিপোর্টগুলিকে কীভাবে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রের কাছে?

আইসিএমআর-এর তরফে একটি ডেটা ড্যাশবোর্ড এবং ডেটা এন্ট্রি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন ক'টা পরীক্ষা হয়েছে, পজিটিভ ক'টা এসেছে, নেগেটিভই বা ক'টা হয়েছে তা একজন এন্ট্রি করে ওই ড্যাশবোর্ডে ।

কিন্তু রাজ্যে এবং কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যের মধ্যে তো ফারাক থেকে যাচ্ছে?

রাজ্যের তরফে সরকারি হাসপাতালগুলিতে যত জন আক্রান্ত হচ্ছেন সেই সংখ্যা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কতজন মারা গিয়েছেন বা সুস্থ হয়ে উঠছেন সেই হিসেবে আসছে না। সেখানে কেন্দ্রের যে পোর্টাল রয়েছে তাতে এখনও পর্যন্ত সমস্ত সংখ্যাই দেওয়া আছে।

কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে কি পশ্চিমবঙ্গকে আরও সাবধান হতে হবে?

অবশ্যই। হটস্পটগুলিতে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করতে হবে। কাউকে বাড়ির বাইরে বেরতে দেওয়া চলবে না। ঘরে ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বাইরে বেরলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতেই হবে। ডাক্তারদের এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং বিসিজি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করতে হবে। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে গেলে রাজ্য সরকারের উচিত স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে বাড়ি বাড়ি র‍্যাপিড টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা চালু করা। যেই মুহুর্তে পরীক্ষার ফল পজিটিভ হবে তৎক্ষণাৎ তাঁকে আইসোলেশনে বা কোয়ারেন্টাইনে পাঠান দরকার।

এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে জেনারেল ওয়ার্ডের রোগীদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বহু জেলা হাসপাতালকে বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে।

আমি এটা শুনেছি অনেক রোগীরা তাঁদের উপসর্গ লুকিয়ে যাচ্ছেন, যদি তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়া হয় সম্ভবত সেই কারণে। এক্ষেত্রে আমি বলব প্রথমেই রোগীর দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হোক। যদি তা বাড়তে থাকে, তক্ষুণি তাঁকে আইসোলেশনে পাঠিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হোক।

রাজ্যে কিন্তু করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ঘিরে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। তৃণমূল সরকার মৃত্যুর কারণ তদারকি করতে একটি কমিটিও প্রস্তুত করেছে। আপনার কী মত, কোন পদ্ধতিতে এই মৃত্যু সংখ্যা গণনা করা উচিত?

এক্ষেত্রে যিনি চিকিৎসক রয়েছেন তিনি কমিটিকে জানাচ্ছেন রোগীর বিষয়ে। সেক্ষেত্রে রোগীর কীভাবে মৃত্যু হল তা তিনিই সবচেয়ে ভালোভাবে বলতে পারবেন। এমনও হতে পারে করোনা থাকলেও মূলত হৃদযন্ত্র বিকল বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে কোনও কমিটির সিদ্ধান্তের পরিবর্তে চিকিৎসকের সিদ্ধান্তের উপরেই আস্থা রাখা উচিত।

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

West Bengal coronavirus
Advertisment