Advertisment

সংক্রমিত হলে শুধুই প্যারাসিটামল আর গার্গল! ওমিক্রন আবহে চিকিৎসকদের কী বার্তা

Omicron Cases in Bengal: আশঙ্কা সত্যি করে দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ চলছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
কোভিড থেকেই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা বাড়তে পারে? জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

প্রতীকী ছবি

Omicron Cases in Bengal: আশঙ্কা সত্যি করে দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ চলছে। মঙ্গলবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খ্যাতনামা চিকিৎসক অভিজিত চৌধুরী এবং কুণাল সরকার। চিকিৎসক সরকার বলেন, ‘বিনা পরামর্শে কোনো ওষুধ খাবেন না। করোনা আক্রান্ত হলে একমাত্র চিকিৎসা প্যারাসিটামল, গার্গল। এই মুহূর্তে প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছেন। মাস্কই একমাত্র ভরসা।‘

Advertisment

চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের পরামর্শ, ‘তৃতীয় ঢেউ ভাঙছে ভ্যাকসিনের বর্মকে। প্রথম ঢেউয়ে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরাও এবার আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও নষ্ট করছে ওমিক্রন। তাই একবার করোনা আক্রান্ত হয়েছি, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছি। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাস্ক ছাড়া ঘোরা যাবে না।‘

তিনি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউরোপের দেশগুলোতে সংক্রমণ ব্যাপক বাড়তে (প্রায় ১০০%) ১০-১২ দিন সময় নিয়েছে। এখানেও সেই পরিস্থিতি হবে। ঠিকঠাক নমুনা পরীক্ষা হলে সাড়ে ৩ লক্ষ প্রতিদিন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ধরে নিই ওমিক্রন দুর্বল প্রজাতি। কিন্তু তাতেও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডেল্টা প্রজাতির জন্য ককটেল থেরাপি কার্যকর। কিন্তু ওমিক্রনে এই থেরাপি সাড়া দেয়নি।‘  

এদিকে, বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। ভারতেও বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ভারতে ইতিমধ্যেই করোনা তৃতীয় ঢেউ উঠতে শুরু করেছে। তবে আগের দুটি ঢেউ থেকে একে বারেই আলাদা নতুন এই ঢেউ। তা এককথায় মেনে নিচ্ছে চিকিৎসক থেকে আক্রান্ত সকলেই। একনজরে দেখে নেওয়া যাক প্রথম দুটি ঢেউ থেকে কতটা আলাদা করোনার এই নয়া স্ট্রেন।

করোনার প্রথম ঢেউয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাদ এবং গন্ধ থাকত না। অন্তত প্রথম সাত দিন তো একেবারে নয়। শুকনো কাশি থাকত। তবে ঠান্ডা লাগা দীর্ঘস্থায়ী হত না। আক্রান্ত ব্যক্তির বুকে সিটি স্ক্যানের পর কোভিড জেলির উপস্থিতি পাওয়া যেত। শরীরের তাপমাত্রা বেশ উঁচুর দিকেই থাকত। আক্রান্ত ব্যক্তির দুর্বলতা থাকত মারাত্মক। যাঁদের কো-মর্বিডিটি ছিল তাঁদের সবচেয়ে বেশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিত। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাটা ছিল ১০ শতাংশ। প্রাণহানির সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতোন।

অন্যদিকে ওমিক্রন ভাইরাসের হানায় সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়ালেও, স্বাদ অথবা গন্ধ চলে যাওয়ার মত উপসর্গ একেবারেই থাকছে না। গায়ের তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়ছে না। আক্রান্ত ব্যক্তির বুকে কোনও কোভিড জেলির উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে না। ওমিক্রন আক্রান্তদের কিছু জনের মধ্যে বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, গলা ব্যাথা এবং মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গও দেখা গিয়েছে। তুলনামূলক-ভাবে হাসপাতালে ভর্তির প্রবণতাও অনেক কম।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Third Wave Cocktail therapy Omicron Cases in Bengal
Advertisment