করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন টালিগঞ্জের প্রৌঢ়। শুক্রবারই দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। করোনা আবহে এই ঘটনাই আশার আলো বলে মত চিকিৎসকদের।
গত ২৯ মার্চ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন টালিগঞ্জের বছর ৫২-র প্রৌঢ়। পর দিনই তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ মেলে। ভেন্টিলেশন দিতে হয় তাঁকে। সেই থেকেই টানা ভেন্টিলেশনে ছিলেন ওই রোগী। এর মধ্যে গত ১৭ ও ১৮ এপ্রিল পর পর দুবার নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা নেগিটিভ আসে। তবে, সংক্রমণ নিরাময় হলেও শ্বাসকষ্ট ছিল। ফলে ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রাখা হয়েছিল রোগীকে। গত ২ মে পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হলে তাঁকে ধীরে ধীরে ভেন্টিলেশন থেকে বাইরে আনা হয়। শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ওই করোনাজয়ী।
আরও পড়ুন- কলকাতাতেই আবিষ্কারের পথে করোনার ওষুধ, বিশ্বকে আশার আলো দেখাচ্ছেন বাঙালি গবেষকরা
আমরি হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া বলেছেন, 'কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে গত ২৯ মার্চ হাসপাতালে এসেছিলেন ওই রোগী। পরদিনই তাঁর সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনি অন্যান্য বেশ কয়েকটি রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। ফলে সুস্থ করতে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিতে হয়। কিন্তু, রোগীর অদম্য লড়াইয়ের মানসিকতার কাছে হার মেনেছে করোনা।' একই সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদেরও প্রশাংসা করেন আমরির সিইও।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এক মাসের বেশি ভেন্টিলেশনে থেকে বেঁচে ফেরার নজির নেই। এক বিবৃতিতে আমরি হাসপাতাল জানিয়েছে, 'টানা ৩৮ ভেন্টিলেশনে থাকার পরও করোনা যুদ্ধে জয়লাভ করে গোটা দেশে রেকর্ড গড়েছেন টালিগঞ্জের প্রৌঢ়।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন