করোনার কারণে অর্থনীতিতে এমনিতেই প্রবল ধাক্কা পড়েছে। অনেকেই রোজগার হারিয়েছেন। কেউ কর্মহীন আবার কারও বা বেতন অর্ধেক হয়েছে। কিন্তু তাই বলে তো আর বাঙালির বারোমাস্যার ক্যালেন্ডার থেকে উৎসবের দিন বাদ যায়নি! কিন্তু বাজারে দামের যা ছেঁকা, তাতে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওদিকে বিক্রেতাদেরও মাথায় হাত। যেমন, লকডাউনের পর দোকান খুললেও ব্যবসা জমাতে পারছেন না মিষ্টি বিক্রেতারা। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার অতিমারী আবহে প্রায় ৩০ শতাংশ বিক্রি কমেছে, বলছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
গোটা বাংলাজুড়ে প্রত্যেকবারই ভাইফোঁটায় মিষ্টির বেশ চাহিদা থাকে। তবে তুলনামূলকভাবে এবার সেরকম বিক্রি আর হয়নি।" লকডাউনের শুরু থেকেই ব্যবসায়িক পরিস্থিতি খুব খারাপ। তবে ক্রমশ সেই জায়গা থেকে উঠছেও। তবে অন্যান্যবারের সঙ্গে তুলনা করলে, এবার কিন্তু উৎসবের মরসুম বেশি বিক্রিবাট্টা হয়নি", বললেন কলকাতার বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমন মল্লিকের কর্ণধার সুদীপ মল্লিক।
ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় খ্যাতনামা মিষ্টির দোকানগুলিও নিজেদের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে বাধ্য হয়েছে। লকডাউনের পর উৎসবের মরসুমের গোড়ার দিকে মিষ্টি বিক্রেতারা ভেবেছিলেন, এবার হয়তো ফের একবার ব্যবসা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। কিন্তু কোথায় কী! সেই আশা পূরণ হল না মিষ্টি বিক্রেতাদের।
"লকডাউনের পর যখন দোকান খুললাম, তখন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মাত্র ১৫ শতাংশ ব্যবসা করতে পেরেছি। দুর্গাপুজোর শেষ তিন দিন অবশ্য বিক্রি ভালই হয়েছিল। কিন্তু আবার যেই কি সেই! প্রতিবছর এই সময়ে যা মিষ্টি বিক্রি হয়, তার তুলনায় বিক্রি নেমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশতে", বললেন কে সি দাসের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ধীমান দাস।
উল্লেখ্য, লকডাউনের পর থেকে মিষ্টি তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু দোকানে মিষ্টির দাম বাড়াতে পারছেন না বিক্রেতারা। একে ক্রেতার অভাব, উপরন্তু কাঁচামালের দামের ছেঁকা, কুলোতে গিয়ে একপ্রকার নাভিঃশ্বাস উঠছে মিষ্টি বিক্রেতাদের।