নিউ টাউনের শপিংমলে পামেলার পার্লারে লুকিয়ে কোকেন-কাণ্ডের রহস্য। এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের। নিউ আলিপুর থেকে বিজেপির এই নেত্রীকে গ্রেফতারের পর তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। দফায় দফায় চলছে জেরা। সেই জেরায় উঠে এসেছে পার্লারের বন্ধ বাক্সের প্রসঙ্গ। শনিবার সারাদিন হন্যে হলেও, রবিবার সেই পার্লারের চাবি হাতে পান তদন্তকারীরা। তবে, পার্লারের চাবি পেলেও রহস্যের তালা এখনও খুলতে পারেনি পুলিশ।
নিউটাউনের শপিং মলে পামেলার এই পার্লারে শনিবার সকাল থেকেই ঢোকার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, এই পার্লার থেকেই চলত পামেলার যাবতীয় কাজকর্ম। রবিবার দুপুরে চাবি হাতে আসে পুলিশের। তার পর পামেলাকে নিয়েই তাঁর পার্লারে শুরু করা হয় তল্লাশি। প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েও অবশ্য পুলিশ তেমন কোনও তথ্য হাতে পায়নি বলে খবর।
রবিবার দুপুরে পামেলাকে টেনে হিঁচড়ে পার্লারে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। যাওয়ার সময় তিনি সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলে যান, ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। পুলিশের এক ওসি অমিতশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ও এর সঙ্গে জড়িত। এমন অভিযোগ করেন তিনি। রীতিমতো চিৎকার করতে করতে পামেলা বলে যান, ‘‘আমি সিআইডি তদন্ত চাই। অথবা ডিডি তদন্ত করুক। কোনও সিট-কে যেন তদন্তভার দেওয়া হয়, তা হলেই সব তথ্য সামনে চলে আসবে।’’
জানা গিয়েছে, পার্লারে অজস্র বাক্স রয়েছে, যার প্রত্যেকটিরই তালা বন্ধ। আর একটিরও চাবি হাতে পায়নি পুলিশ। ফলে কোকেন-কাণ্ডে পামেলা গোস্বামী বড় কোনও মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত কিনা, তার প্রমাণ এখনও হাতে পায়নি পুলিশ।
কোকেন কাণ্ডে গ্রেফতার যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলতেই তাঁর পাশে দাঁড়ালেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপির সভাপতি শনিবার বললেন, অন্যায় করলে শাস্তি হবে। পর্যাপ্ত তদন্ত হোক। কিন্তু অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, কোকেন কাণ্ডে পামেলা, তাঁর সঙ্গী বিজেপি নেতা প্রবীর দে এবং নিরাপত্তা রক্ষীর আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার এজলাসে তোলার সময় বিজেপি নেত্রী পামেলা বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বলেন, “আমাকে জোর করে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে বিজেপির রাকেশ সিং। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং। আমি চাই সিআইডি তদন্ত হোক। যাতে রাকেশ সিং গ্রেফতার হয়, আমি সেটাই চাই।”