দীর্ঘদিন প্রতারণা চলার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল একটি অনলাইন লটারি চক্র। একটি প্রতারণা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হল, কৈখালি চিড়িয়ামোড়ের বাসিন্দা রূপম মজুমদার, হুগলির শঙ্কর দে এবং সুশীল কুমার পাড়িয়া, পোস্তার বাসিন্দা দিলীপ ঘোষ, কৈখালি বাগুইহাটির মহ: আক্রম, চারু মার্কেট চত্বরের সুব্রত মিত্র এবং সূদূর বারাণসীর হেমন্ত কুমার মৌর্য।
আরও পড়ুন- আবারও বীরভূম! বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ি
ধৃত সাতজনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং লটারি রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে দেখা যায়, ধৃত হেমন্ত কুমার মৌর্যের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে বন্ধন ব্যাঙ্কের একটি শাখার এক কর্মীর প্রেমের যোগসূত্রও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। জানা যায়, কলকাতায় একটি মেসে থাকাকালীনই প্রতারণা শুরু করে হেমন্ত।
আরও পড়ুন- ১-২ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসা শুরু করার নাম করে এক মহিলার থেকে ২০১৯ সালে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নেয় হেমন্ত। কিন্তু এরপর যখন ওই মহিলার পরিবার থেকে বিয়ে করার ব্যাপারে চাপ দেওয়া হয় হেমন্তকে, তখন থেকেই তাঁদের এড়িয়ে যেতে শুরু করে সে। এমনকী যখন হেমন্তের কাছ থেকে টাকা চাইতে শুরু করে মেয়েটির পরিবার, হেমন্ত তখন টাকা দিতেও অস্বীকার করে, উপরন্তু তাঁদের ফোনে হুমকিও দেয় বলে খবর। এরপরই ওই প্রতারিত মহিলা আলিপুর থানায় গিয়ে হেমন্ত কুমার মৌর্যের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই পুলিশ হেমন্ত কুমারকে ধরতে সক্ষম হয় এবং পরবর্তীতে একের পর এক প্রতারকদেরও হদিশ পেতে শুরু করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মুখেই হেমন্ত এবং সুব্রত দুজনেই স্বীকার করে নেন যে তাঁরা একটি অবৈধ অনলাইন লটারি এজেন্সি চালাত।
Read the full story in English