Howrah Murder: প্রায় চার দিন দেখা নেই দাস পরিবারের তিন সদস্যের। তাতেই সন্দেহ বাড়ে পড়শিদের। খোঁজ নিতে গেলেই চক্ষু চড়কগাছ। দো’তোলা বাড়ির পাইপ চুইয়ে বেরিয়ে আসছে রক্ত। আর সেই রক্তের রহস্যভেদে লিলুয়ার পুলিশ উদ্ধার করে একই পরিবারের তিন জনের দেহ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্ত্রী এবং মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে পেশায় ব্যবসায়ী অভিজিত দাস। তবুও তারা ময়না তদন্তের প্রাথমি রিপোর্টের অপেক্ষা করছে। লিলুয়া থানা সূত্রে খবর, মৃতদের নাম অভিজিত দাস, দেবযানী দাস এবং তাঁদের কিশোরী মেয়ে সম্রাজ্ঞী দাস।
Advertisment
ঠিক কী হয়েছে, হাওড়ার বেলগাছিয়ার দাস পরিবারে। জানা গিয়েছে, গ্যাসের ব্যাবসায়ী অভিজিতের সঙ্গে তাঁর সংস্থার কর্মীরা ২৯ সেপ্টেম্বর যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সম্ভবপর হয়নি। এদিকে, পড়শিরা শেষবার ২৮ সেপ্টেম্বর এই পরিবারকে প্রকাশ্যে দেখেন। তারপর থেকে বাড়ির কারও সাড়াশব্দ নেই। এমনকি, জনসমক্ষেও গত কয়েকদিন দেখা যায়নি দাস পরিবারের কোনও সদস্যকে। এতেই কৌতূহল বাড়ে পড়শিদের। কী ব্যাপার খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায়, দাস পরিবারের বহুতলের পাইপ চুইয়ে বেরিয়ে আসছে রক্ত। পাশাপাশি ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এতেই সন্দেহ বাড়ে অন্য আবাসিকদের।
তখনই লিলুয়া থানায় খবর গেলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তিন জনের দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হাতুড়ি জাতীয় ভারী কিছু দিয়ে মেরে স্ত্রী-মেয়েকে খুন করেছেন অভিজিত। তারপর নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনার নেপথ্যের প্রকৃত কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একাধিক দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিজিতবাবুর বাজারে ধারদেনার বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। এমনটাই লিলুয়া থানা সূত্রে খবর। তবে তার আগে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।