Advertisment

কসবার ভুয়ো টিকা ক্যাম্পের জাল ছড়িয়ে সিটি কলেজেও! Vaccine নিয়ে আতঙ্কে স্থানীয়রা

Kasba Fake Vaccination: কলেজের সেই ক্যাম্প থেকে অধ্যাপক-অশিক্ষক কর্মী এবং স্থানীয় মিলিয়ে প্রায় ৭৫ জন টিকা নিয়েছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kasba Vaccination, Fake IAS, Kolkata Police

কসবা কাণ্ডে ধৃত ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কোটি টাকারও বেশি জালিয়াতির অভিযোগ উঠল।

Fake Vaccination Camp: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ। জানা গিয়েছে, এলাকায় প্রভাবশালী হয়ে ঘুরতেন দেবাঞ্জন দেব। আশপাশে নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে নিয়ে নীল বাতির গাড়িতে যাতায়াত ছিল তাঁর। এবার প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে কীভাবে এই প্রতারক দিনের দিনের পর দিন ঘুরতে পারলেন? সেই প্রশ্নের জবাব পেতে এদিন অভিযুক্তকে নিয়ে কসবা রাজডাঙার সেই অফিসে অভিযান চালায় লালবাজার এবং কসবা থানার আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ফরেন্সিক দলের সদস্যরা।

Advertisment

দেবাঞ্জনের অফিস-নথি সব খতিয়ে দেখতেই এই অভিযান। জানা গিয়েছে, অফিস থেকে প্রচুর ভ্যাকসিন, মাস্ক, স্যানিটাইজার, ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই বাগড়ি মার্কেট থেকে ভ্যাকসিন এনে টিকাকরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জেরায় এই তথ্য পুলিশকে দিয়েছেন দেবাঞ্জন। সেই টিকা কতটা গ্রহণযোগ্য জানতে চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ব্যাচ নম্বর-সহ সেই টিকার ভায়াল পাঠানো হয়েছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে। পুনের এই সংস্থা কোভিশিল্ড উৎপাদনে সরকারের অনুমোদন পেয়েছে। তাই তারাই বলতে পারবেন এই ব্যাচ নম্বরের কোভিশিল্ড সিরাম তৈরি করেছে কিনা।

এদিকে, কসবার ভুয়ো টিকাকেন্দ্রে যাঁদের টিকাকরণ হয়েছে, তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করেছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার তরফে মেডিক্যাল ক্যাম্প বসেছিল কসবা বাজার এলাকায়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ভুয়ো ক্যাম্প থেকে টিকা গ্রহণ করা নাগরিকরা। আর ক’জন, কীভাবে এই টিকা পেয়েছেন এবং টিকা গ্রহণের পর কোনও শারীরিক অসুবিধা হয়েছে কি? সেটা জানতে কসবা বাজার এলাকা পরিদর্শন করেছে পুরসভার বিশেষ মেডিক্যাল টিম।

এদিন জানা গিয়েছে, মে মাসে উত্তর কলকাতা সিটি কলেজে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করেছিলেন দেবাঞ্জন। মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলির নামে এই টিকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। সিটি কলেজের সেই ক্যাম্প থেকে অধ্যাপক-অশিক্ষক কর্মী এবং স্থানীয় মিলিয়ে প্রায় ৭৫ জন টিকা নিয়েছিলেন। এদিন তাঁরাও দেবাঞ্জনের খবরে স্পষ্টতই ছিলেন আতঙ্কিত।

যদিও দেবাঞ্জনের গতিবিধি দেখে কোনও সন্দেহ হয়নি কলেজ কতৃপক্ষের। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাউকে ক্যাম্পের ছবি তুলতে দেওয়া হয়নি। তবে দু-তিনটি সংবাদ মাধ্যম উপস্থিত ছিল। শুধু ক্যাম্প শেষে আমাদের অনুরোধে সবার সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন দেবাঞ্জন।‘ মোবাইলে মেসেজ আশার প্রসঙ্গে দেবাঞ্জন বলেছিলেন, আমাদের আরও দুই-তিনটি জায়গায় ক্যাম্প করতে হবে। তাই ধরে ধরে এতজন মানুষের নাম এন্ট্রি করে মেসেজ পাঠানো অসম্ভব। পরিচয়পত্র, ফোন নাম্বার এবং টিকা গ্রহিতার নাম ওরা নিয়ে গিয়েছিল। বলেছিল এক-দুই দিনের মধ্যেই মেসেজ ঢুকে যাবে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই দাবি করেন সিটি কলেজের অধ্যক্ষ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Fake IAS Kasba Vaccination City College
Advertisment