JMB Terrorist Arrest: হরিদেবপুর থেকে ধৃত ৩ জেএমবি জঙ্গিকে জেরা করে আরও দুই জনের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। এই দুই জনের মধ্যে একজন শেখ শাকিল এবং অপরজন সেলিম মুন্সি। এই সেলিম মুন্সি ধৃত জঙ্গিদের লিঙ্কম্যান হিসেনে কাজ করত। হরিদেবপুরে দুটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই ঘর খুঁজে দিতে সাহায্য করেছিল হরিদেবপুরের বাসিন্দা মুন্সি। এদিকে, শেখ শাকিল ওই ৩ জনকে আধার কার্ড বানিয়ে দিয়েছিল। মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিল শাকিল। পলাতক এই দু’জনের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
এদিকে, ধৃত ৩ জনকে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে আনা হলে তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এসটি এফ সূত্রে খবর, জেএমবি-র বড় পান্ডা তাসলিমের নির্দেশেই রাজ্যে ঢুকেছিল তিন জঙ্গি। ধৃত ধৃত নাজিউর রহমান ওরফে জয়রাম ব্যাপারী, তার সহযোগী রবিউল ইসলাম এবং শেখ সাবীর ওরফে মিকাইল, এই তিনজন ফেরিওয়ালার বেশে এলাকায় রেকি করত। তলে তলে করত সদস্য এবং তহবিল সংগ্রহ। তিন জনের বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ এলাকায়।
জানা গিয়েছে, তদন্তে বাংলাদেশ পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। জেএমবি শীর্ষ নেতা আলামিনের সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে হাতে লেখা ডায়রি-সহ মোবাইল এবং জেহাদি নথি উদ্ধার করেছে এসটিএফ। মোবাইল ঘেঁটে কলকাতা-সহ বাংলাদেশের কয়েকজনের নম্বর উদ্ধার হয়েছে।এমনকি, সোশাল মিডিয়ায় ধৃতদের অ্যাকাউন্ট ছিল। তদন্তে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক অনুমান, ভারতের কয়েকজনে সাহায্যে শহরে ঘাঁটি গেড়েছিল ওই তিন জঙ্গি। শুধু সদস্য এবং তহবিল সংগ্রহ, না বড়সড় নাশকতা? নেপথ্যে কোন অভিসন্ধি খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ।
সূত্রের খবর ধৃত তিন জনের মধ্যে নাজিউর জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সে বাকিদের নির্দেশ দিত। তার নির্দেশেই বাকি দুই জন জিনিস ফেরির অছিলায় এলাকা টহলে বেড়াত। বহুদিন ধরে এদেশে জাল বিস্তার করতে চাইছে জেএমবি জঙ্গি সংগঠন। এর আগে মালদহ-মুর্শিদাবাদ থেকে একাধিক জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। রবিবার হরিদেবপুর থেকে ধৃতদের সঙ্গে খাগড়াগড়-কাণ্ডের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন