Kolkata Omicron: বছরের শেষদিন। ক্যালেন্ডারে লাল দাগ না থাকলেও উৎসাহে ভাঁটা নেই বঙ্গবাসীর। তাই শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার একাধিক দর্শনীয় স্থানে উপচে পড়েছে ভিড়। চিড়িয়াখানা থেকে ভিক্টোরিয়া কিংবা পার্ক স্ট্রিট কালীঘাট মন্দির। সব জায়গায় বাঁধনছাড়া জমায়েত। আর এই জমায়েত দেখেই উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের। তাই সতর্কতা অবলম্বনে এদিন সকাল থেকেই উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার দর্শনীয় স্থানে বাড়ানো হয়েছিল পুলিশি ব্যবস্থা।
ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানার সামনে রীতিমতো চলেছে মাইক নিয়ে প্রচার। মাস্ক পরুন এবং করোনা বিধি মেনে চলুন। এভাবেই এদিন শহর চষে সচেতনতার বার্তা দিয়েছে পুলিশ। কোথাও নরমে আবার কোথাও গরমে পুলিশকে বলতে হয়েছে, ‘মাস্ক পরুন।‘ দক্ষিণ কলকাতার গরিয়াহাটে পুলিশকে দেখা গিয়েছে বাসে উঠে তল্লাশি করতে। কন্ডাক্টর থেকে বাসযাত্রী, মাস্ক না থাকলেই পড়েছেন পুলিশি চোখ রাঙানির মুখে।
এদিকে, আবার সোনারপুর-রাজপুরে দেখা গিয়েছে পুলিশি সক্রিয়তা। মাস্কহীন মানুষ দেখলেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে, গড়িয়াহাট মোড়ে। সেখানে বাসে উঠে তল্লাশি চালায় পুলিশ। মাস্কহীন যাত্রী দেখলেই নীচে নামিয়ে করা হয়েছে জরিমানা। অনেক জায়গায় পুলিশকে মাইকিংয়ের সঙ্গে মাস্ক বিলি করতেও দেখা গিয়েছে।
এদিকে, দেশে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি। দেশে নতুন করোনা আক্রান্ত ১৬ হাজার ৭৬৪। বৃহস্পতিবার এই পরিসংখ্যান ছিল ১৩ হাজার ১৫৪। করোনায় ত্রস্ত দেশ। রাজ্যে রাজ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বিদ্যুৎ গতিতে। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। শুক্রবার পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১২৭০।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৬,৭৬৪। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ২২০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৫৮৫ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯১ হাজার ৩৬১। করোনায় সুস্থতার হার ৯৮.৩৫ শতাংশ। ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন আতঙ্ক বাড়িয়েই চলেছে। শুক্রবার পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১২৭০। করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় বেশ কয়েকটি রাজ্য এবছর বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় খোলা বা বন্ধ জায়গায় ৫০ শতাংশ জমায়েতে অনুমোদন দিয়েছে। যদিও গোয়ায় এখনও পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি করা হয়নি। তবে রাজ্যে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যোগদানকারীদের RT-PCR নেগেটিভ শংসাপত্র বা সম্পূর্ণ টিকা নেওয়ার শংসাপত্র সঙ্গে রাখতে হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন