Advertisment

বড় সন্তানকে হারানোর কয়েক ঘন্টায় মধ্যেই কন্যার জন্ম দিলেন আহিরিটোলার প্রসূতি

আলো-অন্ধকারই যেন অদৃষ্টের লিখন, তারই মাঝে মা গঙ্গার বিচরণ। আহিটোলার মানুষ মনে করছেন সব হারানো মাকে বাঁচে থাকার রসদ যোগালেন স্বয়ং ঈশ্বর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pregnant lady from collapsed building of ahirlitola gives new born birth

আহিরিটোলার ভেঙে পড়া সেই বাড়ি।

বাড়ি ধসে পড়ায় বছর তিনেকের ছোট্ট মেয়েকে হারিয়েছেন। প্রাণ গিয়েছে শাশুড়ির। জখম স্বামী। নিজেও কয়েকঘন্টা আটকে পড়েছিলেন ভগ্নস্তুপে। শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারীদের সহায়তায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালে। গর্ভাবস্থার অ্যাডভান্স স্টেজ হওয়ায় আজই সিজার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত আবারও এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন গঙ্গা।

Advertisment

বড় সন্তানকে হারিয়ে গঙ্গা ঘড়াইয়ের দু'চোখে যখন শুধুই আঁধার, তখনই তাঁর কোল আলো করে এলো আরেক সন্তান। আপাতত মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছেন বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের ওজন ২ কেজি ৮০০ গ্রাম।

আলো-অন্ধকারই যেন অদৃষ্টের লিখন, তারই মাঝে মা গঙ্গার বিচরণ। আহিটোলার মানুষ মনে করছেন সব হারানো মাকে বাঁচে থাকার রসদ যোগালেন স্বয়ং ঈশ্বর।

রাতের অন্ধকার তখনও কাটেনি। আহিড়িটোলায় রাতের নিঃস্তব্ধতা।হঠাৎ বিকট শব্দ। দেখা যায় ১০ নম্বর ভগ্নপ্রায় বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। ধংসস্তুপের তলায় চাপা পড়েছে ভাড়াটে ঘড়াই পরিবারের শিশু সন্তান থেকে অন্তঃসত্বা, বৃদ্ধা সহ প্রত্যেকে। এর মধ্যেই ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা গঙ্গা ঘড়াইকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় আরজি করে। তাঁর পায়ে আঘাত রয়েছে।

এর মধ্যেই বড় মেয়েকে খুঁজেছিলেন গঙ্গা। পরে বস্তায় মুড়ে উদ্ধার করা হয় তিন বছরের শিশুটিকে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। কলকাতা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিথসকরা। একই পরিণতি হয় গঙ্গার শাশুড়িরও। স্বামীও জখম, তাঁর শুশ্রুষা চলছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

kolkata news kolkata
Advertisment