রবীন্দ্র সরোবরে রোয়িং করতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই পড়ুয়ার। মৃত ছাত্রদের নাম সৌরদ্বীপ চট্টোপাধ্যায় ও পুশন সাধুঁখা। মৃত দু'জনেই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র। পুশন উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের ওসির ছেলে। কালবৈশাখীর পূর্বাভাস থাকলেও কেন ওই পড়ুয়াদের রোয়িংয়ের ক্ষেত্রে এ দিন সতর্ক করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিবেশবিদদের এক হাত নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আকাশ কালো করে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। মুহূর্তে নামে বৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টি আর বজ্রপাতে তখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। জানা গিয়েছে, তার আগেই রবিবার স্কুল পর্যায়ের রোয়িং প্রতিযোগিতার ফাইনাল থাকায় এ দিন রবীন্দ্র সরোবরে অনুশীলনে নেমেছিলেন সৌরদ্বীপ, পুশন সহ অন্যান্য় প্রতিযোগিদের মোট পাঁচটি বোট।
এসবের মাঝেই প্রকৃতির তাণ্ডব শুরু হয়। প্রচণ্ড ঝড়ে উল্টে গিয়েছিল সবকটি বোটই। বাকি প্রতিযোগিরা কেউ সাঁতরে পাড়ে আসে, আবার কাউকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বহুক্ষণ দেখা মেলেনি সৌরদ্বীপ চট্টোপাধ্যায় ও পুশন সাধুঁখার। এরপরই তাঁদের খোঁজে রবীন্দ্র সরোবরের জলে ডুহুকরা হয় ওই দুই পড়ুয়াকে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই মৃত্যুর পর রোয়িং ক্লাবের কর্তাদের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কালবৈশাখীর পূর্বাভাস থাকলেও কেন সরোবরের জলে এ দিন ওই পড়ুয়াদের অনুশীলন করতে দেওয়া হল? জবাবে ক্লাব কর্তা চন্দন রায়চৌধুরী বলেন, ''এা সকলেই বাচ্চা ছেলে। সকলেই গেল, উঠেও এসেছে। কিন্তু এই দুটো বাচ্চা ছেলে আর ফিরতে পারল না। যাঁরা সেই সময় ছিল তাঁরা বাকিদের উদ্ধার করেছে। আমরা সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু, কাল যেহেতু ফাইনাল রয়েছে তাই ওরা অনুশীলনে নেমেছিল। এটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।'
রৌয়িং ক্লাবে গিয়ে পরিবেশবিদদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বলেন, 'সরোবরের জলে ডিজেল চালিত উদ্ধারকারী বোট রাখার বিরোধী পরিবেশবিদরা। আমি নিজেও বিরোধী। কিন্তু, একটা না রাখতে দিলে খুবই অসুবিধে। সেটা আজকের ঘটনা প্রমাণ করল।'