নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। পাল্টা রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল টুইট করে জানান, জেনারেল ম্যানেজার-সহ রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন বলে দাবি করেন গোয়েল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী রাত রাত ১১.২০ মিনিট নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে পৌঁছন। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ছিলেন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। মমতার অভিযোগ, রেলের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি।
মমতা বলেন, ‘‘এটা পুরোটাই রেলের জায়গা। কিন্তু এখনও তাঁরা কেউ আসেননি। আমাদের দমকলের পক্ষ থেকে একটা মানচিত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা দেওয়া হয়নি। দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।’’ যদিও রেলমন্ত্রীর দাবি, পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার-সহ আধিকারিকরা এসে উদ্ধারকাজে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সাহায্য করেছেন। এইখানে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত তৈরি হয়েছে। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ঘটনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা হবে।
রেলের ওই তদন্তকারী দলে চারজন উচ্চপদস্থ অফিসার থাকবেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। রেলের তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উচ্চপর্যায়ের এই তদন্তকারী দলকে নেতৃত্ব দেবেন রেলের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক জয়দীপ গুপ্তা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রাতে গিয়েছিলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার যদি কোনও তদন্ত শুরু করে তাহলে রেলের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে।’’
এই দুর্ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘আগুন লাগার পর পরই ‘কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের নকশা দেওয়ার জন্য দমকল ও পুলিশের তরফে রেলকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা (রেল) সেসব দিতে পারেনি। এমনকী পুরোটাই রেলের অফিস হওয়া সত্ত্বেও রেলের কোনও আধিকারিক এখানে আসেননি।’ রেলের দফতরে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কী অবস্থায় ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত হবে দমকলের তরফে।