Advertisment

কলকাতা পুলিশে ফের ‘বিদ্রোহ’, করোনা আবহে অযত্নের অভিযোগ

সেই ক্ষোভে প্রলেপ দিতে পরের দিন সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কলকাতা পুলিশে যেন ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’। এবার বিক্ষোভ ছড়াল সল্টলেকে কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের হেড কোয়ার্টারে। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকে কলকাতা পুলিশের এই ভবনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে পুলিশকর্মীদের ঠিকভাবে দেখ-ভাল করা হচ্ছিল না। এমনকী সেখানে বিদ্যুৎ ও পর্যাপ্ত পানীয় জলের অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, আবাসনের ভিতরে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ জওয়ানরা। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। পরে করোনা আক্রান্ত সশস্ত্র বাহিনীর এক জওয়ানকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। 

Advertisment

জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে সল্টলেকের সশস্ত্র পুলিশের এই হেডকোয়ার্টারে। কলকাতা পুলিশের চতুর্থ সশস্ত্র পুলিশ কর্মীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। একদিকে ঠিকমত চিকিৎসা না হওয়া, ছুটি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জওয়ানরা। অভিযোগ, উত্তেজিত জওয়ানরা হেডকোয়ার্টার্সের ভিতরে ভাঙচুর চালায়। মূল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিধানগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তারা। অভিযোগ, বিধাননগর পুলিশ কর্মীদের ওপরও হামলা চালানো হয়। ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। করোনা পজিটিভ এক জওয়ানকে অ্যাম্বুলেন্স করে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে খোদ কলকাতায় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সশস্ত্র পুলিশ কর্মীরা। ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কলকাতা পুলিশের এক বড় কর্তা। সেই ক্ষোভে প্রলেপ দিতে পরের দিন সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন তিনি। তার পরে ফের এক পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গরফা থানায় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। এবার তৃতীয় ঘটনা ঘটল সল্টলেকে।

kolkata
Advertisment