Advertisment

গবেষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার খড়গপুর আইআইটি-র হস্টেলে

ঠিক কি কারণে জীবন শেষ করে দেওয়ার চরমতম সিদ্ধান্ত নিলেন আইআইটি খড়গপুরের ৩১ বছরের বয়সি গবেষক-স্কলার?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

অবসাদ না কি পারিবারিক কোনও বিবাদ? ঠিক কি কারণে জীবন শেষ করে দেওয়ার চরমতম সিদ্ধান্ত নিলেন আইআইটি খড়গপুরের ৩১ বছরের বয়সি গবেষক-স্কলার? মঙ্গলবার পুলিশ যখন তাঁর দেহটি উদ্ধার করে তখনও এই প্রশ্নের উত্তর অজানাই থেকে যায়।

Advertisment

ঠিক কী হয়েছিল?

সোমবার আইআইটি খড়গপুরের বি আর আম্বেদকর হল এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ভবানীভাটলা কোণ্ডল রাওয়ের দেহ তাঁর রুমের মধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে বন্ধুবান্ধবদের ফোন করে পরিবার। তাঁরা এসে দরজা বন্ধ দেখেই পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

হাসিখুশি ছেলে ভবানীর মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা বন্ধুদের কাছেও। জানা গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়াতে বাড়ি ভবানী রাওয়ের। ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয় তাঁর। স্ত্রী বর্তমানে চেন্নাইতে কর্মরত। বিয়ের জন্য দু'সপ্তাহ সেখানে থাকার পরই আইআইটিতে ফেরেন ভবানী। আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর ভি কে তিওয়ারি বলেন, "মেধায় অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং বুদ্ধিদীপ্ত ছিল ও।" তিনি বলেন ভবানী রাও হয়তো আত্মহত্যাই করেছেন। যদিও গোটা বিষয়টি এখন তদন্তের আওতায়।

২০১৫ সালে আইআইটি খড়গপুরে আসেন ভবানী কোণ্ডাল রাও। এ বছরে তাঁর গবেষনাও প্রায় শেষের পথে ছিল। তাঁর আগেই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল সে তা ভাবিয়ে তুলছে বন্ধুদেরও। সকলেই একবাক্য মেনেছেন অত্যন্ত প্রাণবন্ত ছিল সে। তবে কয়েকজন জানিয়েছে বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিক চাপে ছিলেন ভবানী। যদিও এ বিষয়ে কাউকেই কিছু জানাননি তিনি।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

IIT Kharagpur
Advertisment