Advertisment

KK-র মৃত্যু বিতর্ক: মুখ খুলেই চাঁচাছোলা আক্রমণ সাংসদ দেবের

পুলিশ ও প্রশাসনের সমর্থনে কথা বলেছেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
KK-র মৃত্যু বিতর্ক: মুখ খুলেই চাঁচাছোলা আক্রমণ সাংসদ দেবের, KK-র মৃত্যু বিতর্ক: মুখ খুলেই চাঁচাছোলা আক্রমণ সাংসদ দেবের

কেকের মৃত্যু নিয়ে কী বললেন দেব?

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় গায়ক কে কে-র মৃত্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই, ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব কেকের মৃত্যু বিতর্কে মুখ খুলেছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের সমর্থনে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, নজরুলমঞ্চে ওই ধরণের অনুষ্ঠানের সময় অতিরিক্ত ভিড় ছিল যা 'বেশ স্বাভাবিক।'

Advertisment

অভিনেতা-রাজনীতিবিদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব, কেকে-এর লাইভ কনসার্টকে রাজনৈতিক সমাবেশের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

দেব বলেছেন, 'মানুষ তাদের প্রিয় শিল্পীদের প্রতি ভালবাসার টানে প্রচুর ভিড় করে থাকে। যদি পুলিশ অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এ ধরণের শো বন্ধ করবে বলে আশা করা হয়, তাহলে তো প্রশানকে রাজনৈতিক সমাবেশগুলিও বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক সমাবেশে তো ভিড় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়।'

কেকে-এর মৃত্যুকে ঘিরে বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশে বিপুল জনসমাগম দেখেছি। আমরা লক্ষ লক্ষ লোককে সমাবেশে যোগ দিতে দেখেছি। যদি সেটা ঠিক হয় তবে এক্ষেত্রে এ ধরণের কথা বলা অনুচিত।'

শনিবার, রাজ্যপাল ধনকড় রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন। কেকের মৃত্যুর জন্য প্রশানের অপদার্থতাকেই দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন যে, 'কেকে-র মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক। বেশ কয়েকজন আমাকে ভিডিও পাঠিয়েছেন। আমার হৃদয় রক্তক্ষরণ হয়েছে। এর বেশি প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা আর হতে পারে না।'

কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ কে কে নামে পরিচিত। ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। গত ৩১ মে কলকাতার নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে লাইভ কনসার্টের সময়ই মঢ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।

পোস্টমর্টেম রিপোর্টে অস্বাভাবিক মৃত্যুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, হৃদযন্ত্রের অসুবিধার কারণেই কেকের মৃত্যু হয়েছে।

গায়কের মৃত্যু রাজ্যে একটি রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। বঙ্গে বিজেপি কেকের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান অভিযোগ করেছিলেন যে অডিটোরিয়ামের ধারণক্ষমতা ৩ হাজার ছিল কিন্তু সেখানে ৭ হাজার লোককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

ইতিমধ্যে, কলকাতা পুলিশ শোগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় রোধ করতে এবং প্রয়োজনে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য কিছু ব্যবস্থা চালু করেছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল শুক্রবার বলেছিলেন যে, কোনও পদদলিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না এবং নজরুল মঞ্চে উপস্থিতদের জায়গার অভাব ছিল না।

Dev Singer KK death Singer KK
Advertisment