পি সি চন্দ্র পুরস্কারে এবছরের সম্মাননা পেলেন, সরোদ ওস্তাদ আমজাদ আলি খান। বেশ অনেক বছর পরেই শহরে এসেছিলেন তিনি, তখনই কলকাতার স্মৃতি মনে করে আবেগে ভাসলেন। মঞ্চে তার সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। পি সি চন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী পূর্ণচন্দ্র চন্দ্রের জন্মদিন উপলক্ষে এইদিন প্রতিবছরই অনুষ্ঠান পালিত হয়।
Advertisment
সাংবাদিক বৈঠকে সঙ্গীত এবং সংস্কৃতি ছাড়াও বিশ্বের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়েও জানালেন আমজাদ আলি খান। বললেন, যে সময়ে দাঁড়িয়ে আছি অন্তত এই ধরনের যুদ্ধ, হিংসা বিদ্বেষ এসব মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিবেশী দেশ হোক কিংবা বিশ্বের যে কোনও দেশ, যদি তার উপকার করতে না পারি, তবে তার অপকার করাও ঠিক নয়। জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার প্রবল ইচ্ছে তার। তিনি যথেষ্ট ব্যাস্ত বলেই হয়তো আসতে পারেননি অনুষ্ঠানে। রাজ্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নিপুণ ভাবে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে আর দেখা সাক্ষাৎ হয়নি।
এদিন অনুষ্ঠানে এসেই কলকাতার পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে উস্তাদ জী বললেন, এই শহরেই একা প্রোগ্রাম করেছি টানা নয় ঘণ্টা ধরে। তবে বেশ কিছু বছর ধরেই এই শহরে অনুষ্ঠান করার সুযোগ হচ্ছে না। ইচ্ছে রয়েছে, দুই ছেলেকে নিয়েই অনুষ্ঠান করার। তার সঙ্গেই জানালেন, বাংলা তার দ্বিতীয় বাড়ি। তাঁর বাবাও এই শহরে অনেক সময় কাটিয়েছেন। এই রাজ্য শিল্প সংস্কৃতির বাহক। হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় কথা বললেও বাংলা বুঝতে পারেন এমনটাই জানালেন তিনি।
গানের সঙ্গে এতদিনের যোগ, কম করে সাত প্রজন্ম! পরবর্তীতে এই ধারা বজায় থাকবে কী? ওস্তাদ আমজাদ আলী খান বলেন, আমার নাতিরাও লকডাউনের সময় থেকে অল্প স্বল্প সরোদ বাজানোর অভ্যাস করেছে। শুধুই পাঠ্যপুস্তক পড়ে একেবারেই আসল শিক্ষা সম্ভব নয়। অন্যদিকে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, "শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনার অধীনে সঙ্গীতকে অবশ্যই রাখা উচিত। এর আগেও মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও কথা বলেছি। অন্তত মানুষ হিসেবে কোনও শিশুকে গড়ে তুলতে গেলে, অবশ্যই শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গীতকে জুড়তে হবে।"