আনলক ১-এর দ্বিতীয় দিনেও পথে বেরনো মানুষদের ভোগান্তি কমল না বরং আরও বাড়ল। তাছাড়া বাজারহাটের ভিড়ও অনেক বেড়ে গিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বিধি বলে কোনও বিষয় আছে কী নেই, তার কোনও মালুম হল না মঙ্গলবারও। যথারীতি রাস্তাঘাটে চারচাকা, বাইক ছিল যথেষ্ট সংখ্যক। তবে বারাসাত থেকে কয়েকটি রুটের বাস পথে নামলেও সার্বিকভাবে বেসরকারি বাস এখনও রাস্তায় নামেনি। এদিন বাস মালিকদের সংগঠনের কর্তারা কসবায় পরিবহণ দফতরে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে এক গুচ্ছ দাবি-দাওয়া পেশ করেছেন। এখনই তাঁরা রাস্তায় বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নেননও। তবে শীঘ্রই বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাস মালিকরা।
সোমবারের মতো যশোর রোড, বিটি রোডের ভিড় এদিন একই ছিল। মঙ্গলবারও মানুষ রাস্তায় নেমে চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন। ডানলপে বাস যাত্রীদের লাইনের দৈর্ঘ যেন সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে, এমনই পরিস্থিতি। এয়ারপোর্ট এলাকায় যশোর রোডেও ছিল বেসরকারি বাস না থাকার জন্য প্রাইভেট গাড়ি ও দুচাকার দাপাদাপি। এয়ারপোর্টেও যথারীতি ভিড় ছিল যথেষ্ট।
অফিস বা কাজের জন্য যাঁরা পথে বেরচ্ছেন তাঁদের সরকারি বাসের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গন্তব্যে পৌঁছতে বাড়তি সময় হাতে নিয়ে বের হতে হচ্ছে। দুর্ভোগ আরও বেড়েছে যাত্রীদের। ডানলপ থেকে ধর্মতলা যেতে সময় লাগছে চার-পাঁচ ঘণ্টা। একই হাল শহরের বিভিন্ন প্রান্তের। একের পর এক বাসে চাপতে পারছেন না যাত্রীরা। বেসরকারি বাস রাস্তায় নেই। অনেকেই আবার নিরুপায় হয়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছচ্ছেন। অটো ধরতেও অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকছে না। মাঝ রাস্তা থেকে অটোতে ওঠাও আর এক বিড়ম্বনা। ট্যাক্সি করে রোজ সবার পক্ষে অফিস বা কাজে যাওয়া সম্ভব নয়। রাস্তাঘাটে যাত্রী ভিড়েও থাকছে না সামাজিক দূরত্বের কোনও বিধি নিষেধ। কলকাতার একাধিক সবজির বাজার খুলে গিয়েছে। সেখানেও একই হাল। গা-ঘেঁষাঘেঁষি করেই চলছে বেচা-কেনা। নেই মাস্ক নিয়েও কোনও সচেতনতা।
তবে যেভাবে সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে চরম শিথিলতা চলছে তাতে চিকিৎসক মহল চিন্তিত। এদিকে এরাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।