Advertisment

দেড়ঘন্টার নিখুঁত পুলিশি অভিযান, শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ হামলাকারী CISF জওয়ানের

নিহত এক সাব ইন্সপেক্টর। জখম এক এএসআই। ক্ষতিগ্রস্ত কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
park street shootout

ঘটনার পর এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

শনিবার ভরসন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে গুলি চলে। ভারতীয় জাদুঘরের কাছে বিধায়কদের হস্টেলের বিপরীতে পার্ক স্ট্রিটে সিআইএসএফ ব্যারাকে এক জওয়ান তাঁরই সতীর্থকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে জখম হন একাধিক। গুরুতর আহত হন দু'জন সিআইএসএফ কর্মী। জখমদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নিহত বলে ঘোষণা করা হয় এক সাব ইন্সপেক্টরকে। জখম এক এএসআই। গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িও। অভিযুক্তের নাম অক্ষয় কুমার মিশ্র। তিনি সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল।

Advertisment

অত্যাধুনিক একে-৪৭ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়া হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ে ব্যারাকের মধ্যে প্রবেশ করেছে পুলিশ। আসে কমব্যাট ফোর্, কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বীনিত গোয়েল। ছিলেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম-ও। প্রায় দেড় ঘ্টা ধরে চলে অভিযান। টানটান উত্তেজনার মধ্যেই অভিযুক্ত জওয়ান আত্মসমর্পণের জন্য শর্ত দেন। পুলিশের সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কনস্টেবল মিশ্র নিরস্ত্র অবস্থায় পুলিশকে তাঁর কাছে যেতে বলেছিলেন।সেই মচ ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে দল গঠন করে অভিযুক্তের কাছে যায় পুলিশ কর্মীরা।

পুলিশ কমিশনার বীনিত গোয়েল বলেছেন, 'সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ গুলি চলেছিল। প্রায় ১৫ রউন্ড গুলি চলে। অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানকে বুঝিয়ে, নিরস্ত্র করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।'

কেন গুলি চালালেন সিআইএসএফ কনস্টেবল অক্ষয় মিশ্র? জানা যায়, ওড়িশার বাসিন্দা অক্ষয় মিশ্রের বাবা তিন আগে প্রয়াত হয়েছেন। ফলে ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। যা কর্তৃপক্ষ নাকচ করে দেয়। এতেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন মিশ্র। শেষ পর্যন্ত গুলি চালান তিনি।

CISF Park Street kolkata Shootout
Advertisment