করোনাকে রুখতে ঘরবন্দি হয়েছে শহর। সামাজিক দূরত্ব মানতে লকডাউনেই ভরসা কেন্দ্র থেকে রাজ্যের। এতদিন যারা এক লহমায় 'ভ্যানিশ' করেছে সবকিছু, আজ হঠাৎ তাঁদেরই জীবন থেকে ভ্যানিশ হল শো। লকডাউনের আবহে এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ সমস্ত ম্যাজিক শো। কেমন আছেন বাংলার ম্যাজিশিয়ানরা?
হারনো জিনিষ ফিরিয়ে দেবেন এতদিন দর্শকদের আশ্বস্ত করা জাদুকরা নিজেরাই এখন সেই আশাতেই তাকিয়ে। লড়াই করে চলেছেন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে। তবে এটা তাঁরাও জানেন এই পরিস্থিতি ফিরতে আরও এক বছর সময় লেগে যাবে। জাদুকর সুব্রত কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, "এই মে-জুন মাসে আমার পরপর শো ছিল। সামাজিক দূরত্বের কারণে সমস্ত শো ব্যান হয়েছে। কানাডা এবং জাপানেও পারফর্ম করার কথা ছিল। সব পিছিয়ে গিয়েছে। এরকম যদি চলতে থাকে জাদুকরদের জীবন চালানো কষ্টকর হয়ে উঠবে।"
উল্লেখ্য, ২৬ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছেন সুব্রতবাবু। তিনি হাইকোর্টের একজন আইনজীবীও। লকডাইনে বন্ধ হয়েছে এই দুই পেশাই। হতাশার সুরেই সুব্রতবাবু বলেন, "এখন তো আদালতও বন্ধ। এখন বলছে লকডাউন আরও বাড়বে। এটা হলে আমি আর কোনও ক্লায়েন্টও পাব না। এটা অনেকটা আমাদের এই ম্যাজিকটার মতো। যেখানে একটি দড়ির মাঝে আমি দাঁড়িয়ে, আর দড়ির দুই প্রান্ত আগুনে পুড়তে শুরু করেছে।"
একই চিত্র মধ্য কলকাতার তিনতলার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকা পার্থ রায়ের। মূলত জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বা কোনও মেলায় শো করে থাকেন তিনি। পার্থ বলেন, "এপ্রিল-মে মাস জুরে মোট ১২টা শো ছিল। প্রতিটিতে ২০০০ টাকা করে পেতাম। পরের বছরের আগে আর কোনও শো পাব বলে তো মনে হয় না। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব আমাদের একটু সাহায্য করার।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন