স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলায় বুধবার মনোজিতের সঙ্গে বৈশাখীর মিউচুয়াল ডিভোর্সের পক্ষে রায় দিল আলিপুর আদালত। এই রায়ের পরই আদালতে দাঁড়িয়েই বান্ধবী বৈশাখীর মিউচুয়াল ডিভোর্স প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছেন, 'আমিও এই মুক্তির স্বাদের অপেক্ষায় আছি।'
আদালতের রায়ের পর বাইরে বেরিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছিলাম। আজ তার শেষ শুনানি ছিল। বিচারক আমাদের সঙ্গে কথা বলে মিউচুয়াল ডিভোর্সের রায় দিয়েছেন। সন্তানের ভরণপোষণের জন্য মনোজিৎকে টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে আমি জানিয়েছি, সন্তানের খরচ চালানোর মতো যথেষ্ট ক্ষমতা আমার আছে।'
মনোজিৎ মণ্ডল আদালতের রায় প্রসঙ্গে বলেছেন, 'আমাদের বনিবনা হচ্ছিল না, তাই আমি ডিভোর্সে সম্মতি দিয়েছি। আমাদের মেয়ে ওর (বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়)কাছে থাকবে। মেয়ের খরচের ভার আমারও রয়েছে, তাই প্রয়োজনীয় অর্থ দেব। আগামী জীবনের জন্য ওঁকে (বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়) শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।'
বৈশাখীর সঙ্গেই ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বন্ধবীর বিবাহের গাঁটছড়া ছেঁড়ায় খুশি তিনি। বলেন, 'বৈশাখীর সঙ্গে আমার পরিচয়ে অনেকদিনের। এতদিনের পরিচয়ে ওকে এই প্রথম মুক্তির স্বাদ পেতে দেখলাম। আমিও এই মুক্তির স্বাদের অপেক্ষায় আছি। আজ থেকে চার বছর আগেও বলেছিলাম, আবারও বলছি, যেখানে বুক দেখাই, সেখানে পিঠ দেখাই না।'
শোভন চট্টোপাধ্যায়ও স্ত্রী রত্নার থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি করে মামলা করেছেন। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। আগেই একাধিকবার রত্নাদেবী জানিয়েছেন যে, কোনও মতেই ডিভোর্স ফর্মে তিনি সাক্ষর করবেন না। এর মধ্যেই আবার শোভনবাবু তাঁর বেহালার বাড়িটি বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিক্রি করে দিয়েছেন। এছাড়া তাঁর সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখে দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন শোভনবাবু। স্বামী ছেড়ে গেলেও বর্তমানে বেহালার বাড়িতেই সন্তানদের নিয়ে থাকেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেই বাড়ি নিজের বলে দাবি করে রত্নাকে বৈশাখীর বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠানো ঘিরেও জলঘোলা হয়েছিল।
নানা সময়ে গত কয়েক বছরে স্পষ্ট যে শোভন চট্টোপাধ্যায় রত্নাদেবীর থেকে মিউচুয়ালি ডিভোর্স পাচ্ছেন না। কিন্তু, বান্ধবীর জীবনে ঘটল বহু কাঙ্খীত মিউচুয়াল ডিভোর্স। ফলে এ দিন বৈশাখী-মনোজিতের মিউচুয়াল ডিভোর্সের রায় ঘোষণা হতেই শোভনের মুখে তাঁর প্রতিক্ষার কথা শোনা গেল বলে মনে করা হচ্ছে।