বেলেল্লাপনা করতে নয়। বরং শোভনকে একা থাকতে গোলপার্কের ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছিল। বাড়িভাড়া ইস্যুতে বৃহস্পতিবার এভাবেই মুখ খুললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর দুলাল দাস। তৃণমূলের এই বিধায়ক বলেন, ‘ভাড়াটে হিসেবে নয়, জামাই হিসেবে থাকতে দিয়েছিলাম। তাই বাড়িভাড়া নেওয়ার প্রশ্নই নেই।‘ এদিনই শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘যতদিন তাঁরা এই ফ্ল্যাটে ভাড়াটে হিসেবে ছিলেন, ভাড়া দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই ভাড়া ফেরত এসেছে।‘ বৈশাখীর এই দাবির পাল্টা দুলাল দাস বলেন, ‘সেই ফ্ল্যাট কাউকে ভারায় দেওয়া হয়নি। তাই ভাড়া নেওয়ার প্রশ্নই নেই।‘
বুধবার গোলপার্কের ফ্ল্যাট ছাড়তে শোভন-বৈশাখীকে নোটিস পাঠিয়েছে প্রাক্তন মেয়রের শ্যালক। তাঁর সংস্থার নামে সেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই নোটিসের তোয়াক্কা না করেই বৈশাখীর দাবি, ‘তাঁরা ভাড়ায় থাকেন। তার প্রামাণ্য নথিও রয়েছে। তবে ভাড়া দিতে চাইলেও পারছেন না।‘
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বেহালার পর্ণশ্রীতে গোপাল মাস্টার লেনের পৈত্রিক বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের বহুতলে চলে যান কলকাতার তৎকালীন মেয়র শোভন। তারপরেই স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। প্রথমদিকে, গোলপার্কের ফ্ল্যাটে তিনি একা থাকলেও, বর্তমানে বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে রয়েছেন। তাতেই আপত্তি রত্নার পরিবারের।
আরও পড়ুন ‘ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর হুমকি দিচ্ছে রত্না’, লালবাজারে অভিযোগ ‘আতঙ্কিত’ বৈশাখীর
এদিকে, রত্না তাঁকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারার হুমকি দিয়েছে। এই অভিযোগ তুলে কলকাতার সিপির দ্বারস্থ হয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট অভিযোগপত্রে বৈশাখী দাবি করেছেন, “রত্না চট্টোপাধ্যায় এখন শুধু তৃণমূলের একজন নেত্রী নন, উনি প্রভাবশালী বিধায়কও। এর আগেও অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা-ই নেওয়া হয়নি। এবার প্রকাশ্য সংবাদমাধ্যমে উনি আমাকে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন। বলেছেন, ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে স্বামী-সহ আমাকে পেটানো হবে।” তিনি এও উল্লেখ করেন যে, “আমি এতে খুবই আতঙ্কিত এবং ভয়ে রয়েছি।”
অন্যদিকে, বৈশাখীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা শোভন-পত্নী। রত্না স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, বৈশাখী পুলিশ কমিশনারের কাছে গেলে, তিনি সমস্ত প্রশাসকের দ্বারস্থ হবেন। পাশাপাশি তিনি এও অভিযোগ তোলেন যে, “শোভনের সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়াই ছিল বৈশাখীর আসল পরিকল্পনা।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন