সভা হবে ভার্চুয়াল। কিন্তু, তৃণমূলের ২১ জুলাই ঘিরে আড়ম্বর থাকবে না তা হয় না। শহর থেকে জেলা, শহিদ দিবসকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। সেখানেই করোনাবিধি মেনে মানুষ তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য শুনবেন। পাশাপাশি, ২১ জুলাইয়ের মাহাত্ম প্রচারেও খামতি রাখেনি জোড়া-ফুল শিবির। যার ধলক দেখা গেল শহরের বুকে।
Advertisment
একুশে জুলাই উপলক্ষে মঙ্গলবার বিশেষ ট্রাম যাত্রার সূচনা করলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন দলের শ্রমিক শাখার রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই সুসজ্জিত ট্রামের গায়ে শহিদ দিবস কেন তার বিবরণ রয়েছে। পাশাপাশি, জাতীয় ও রাজ্যস্তরে বর্তমান আর্ত, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা বিষয়ে তৃণমূলের অবস্থানও স্পষ্ট করা হয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর ছবির পাশাপাশি একুশে জুলাই সংক্রান্ত একাধিক ছবির কোলাজ দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ট্রাম।
মঙ্গলবার নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো থেকে এই ট্রাম যাত্রার সূচনা হয়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে এই ট্রাম।
করোনার কারণে এবারও তৃণমূল ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করবে ভার্চুয়ালভাবে। দুপুর ২টোয় বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার আগে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যেতে পারেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতৃত্ব। বুথস্তরে সকাল ১০টায় শহিদ বেদিতে মাল্যদান ও পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি পালন হবে। পতাকা উত্তোলন হবে তৃণমূল ভবনেও। সেখানে এখানে তৃণমূলের শাখা সংগঠনের একাধিক নেতাকে থাকতে বলা হয়েছে।
তকৃণমূলের নজরে ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। তাই এবার ২১ জাতীয়। রাজধানীতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে জায়ান্ট স্ক্রিনে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল ভাষণ শোনার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে থাকবেন দলের সাংসদরা। সেখানে বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতা-নেত্রীদেরও আমন্ত্রণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা ও দিল্লির পাশাপাশি ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট-সহ কয়েকটি রাজ্যে তৃণমূলের সমর্থকরা শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন