Advertisment

স্ট্র্যান্ড রোডকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হেয়ার স্ট্রিট থানার, মমতার বিরুদ্ধে 'রাজনীতি'র অভিযোগ BJP-র

সোমবারের কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বারে বারেই সামনে আসছে ভবনের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বিষয়টি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্ট্র্যান্ড রোডের রেলভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করল হেয়ার স্ট্রিট থানা। গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে পুলিশের। দমকল আইনের ৩০৪-এ, ১১-এল ও ১১-জে ধারায় মামলা রুজু করেছে লালবাজার।

Advertisment

সোমবারের এই রেলভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪ দমকল কর্মী, ২ রেল কর্মী এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই অমিত ভাওয়ালের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার লালবাজারে কলকাতা পুলিশের তরফে গান স্যালুট দেওয়া হয় মৃত পুলিশ কর্মীকে। এই ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানা আলাদা ভাবে তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে ফরেন্সিক দল। রেলের তরফে তদন্তের জন্য গঠন হয়েছে চার সদস্যের কমিটি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন গোয়েন্দা বিভাগের ৭ আধিকারিক। সোমবারের কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বারে বারেই সামনে আসছে ভবনের মধ্যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বিষয়টি।

রেলভবনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না? ১৩ ও ১২ তলায় কী অবস্থায় ছিল অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা? ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে কারা ছিললেন? এইসব প্রশ্নই এখন উঠে আসছে। ফায়ার অ্যালার্ম না বাজার কারণেই বিপত্তি বড় আকার নিয়েছে বলে অনুমান দমকলের। এছাড়া, আগুন নেভাতে কেন দমকল কর্মীরা লিফটে উঠলেন তা নিয়েও প্রস্ন উঠেছে। তদন্তে সেই সবই খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর।

সোমবার রাতেই কয়লাঘাটার দুর্ঘটাগ্রস্ত বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই বাড়ির নকশা চাওয়া হলেও তা পুলিশ বা দমকল কর্মীদের রেলের তরফে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্য সরকারকে যথাযত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষমা করা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাড়িটি দেখতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়, স্বপণ দাশগুপ্ত ও শিশির বাজোরিয়া। তবে, তাঁদের ওই ভবনের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে, এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য কার বা কাদের গাফিলতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের প্রয়োজনীতার কথা বলেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিল পদ্ধতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। টুইটে তিনি লিখেছেন, '১০ বছর আগে পার্ক স্ট্রিট অগ্নিকাণ্ডের সময় থরকালীন বিরোধী শিবির পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা প্রটোকল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এক্ষেত্রে কোনও উন্নতি হয়নি। রাজ্যের গাফিলতিতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, ফের একবার তা প্রমাণিত। অবিলম্বে উপযুক্ত ও স্বচ্ছ অগ্নিনির্বাপণ প্রটোকল প্রয়োজন। বাংলায় অসফল পিসি।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

kolkata fire
Advertisment