Advertisment

শহরে কেন্দ্রীয় দল, বেকবাগান-রাজাবাজার-বেলগাছিয়াতে কড়া নজরদারি পুলিশের

অলিগলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। আটকে দেওয়া হয়েছে গলির মুখ। কাউকে অ-প্রয়োজনে ঢুকতে-বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজাবার একদম ঘরবন্দি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

'সবাইকে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের প্রয়োজন হলে আমাদের বলুন। আমরা তা আপনাদের বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেব। লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করবেন না। না হলে, আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।'

Advertisment

দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে, রাজাবাজার মোড়ে গত সোমবার থেকে মাঝে-মধ্যেই মাইকিং করছে পুলিশ। এর আগে এই তৎপরতা নজরে না এলেও গত সোমবার থেকে পরিস্থিতি বদলেছে। শুরু হয়েছে পুলিশি কড়াকড়ি। রাজাবাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। আটকে দেওয়া হয়েছে গলির মুখ। কাউকে অপ্রয়োজনে ঢুকতে-বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজাবার একদম ঘরবন্দি। হঠাৎ কেন কড়াকড়ি বাড়ল? বাড়িতে বসে এই প্রশ্নই দানা বেঁধেছে সেখানকার বাসিন্দাদের মনে।

publive-image লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শহরে কেন্দ্রীয় দল।

কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসতেই বেড়েছে পুলিশি তৎপরতা। লকডাউন নিয়ে আঁটোসাঁটো হয়েছে পুলিশি নজরদারি। কলকাতার রাজাবাজার, বেলগাছিয়া, বেকবাগান ঘুরে ধরা পড়ল এমনইসব পুলিশি সক্রিয়তার ঘটনা।

গত শনিবার পর্যন্ত অবশ্য এতটা পুলিশি সক্রিয়তা চোখে পড়েনি। রাজাবাজারের বাসিন্দার ইমরান হাফিজের কথায়, 'রেড হওয়া সত্ত্বেও এতদিন নজরদারি কম ছিল। রবিবার রাত থেকে একটু একটু করে কড়াকড়ি বাড়ছিল। সোমবার থেকে তা চরমে পৌঁছায়।' মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুলীধর শর্মা নিজে রাজাবাজারের পরিস্থি খতিয়ে দেখেন। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের সজাগ থাকা নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকায় পৌঁছে য়ায় ব়্যাপিড টেস্ট কিট। যদিও আইসিএমআর ২ দিন ওই কিট ব্যবাহর করতে নিষেধ করেছে।

আরও পড়ুন- বাংলায় তিন তারা-চার তারা হোটেলে কোয়ারান্টাইন সেন্টার

কলকাতার বেগবাগান। এখানেও বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে ছোট ছোট রাস্তার মুখে। লকডাউন জোরদার করতে নির্দেশ রয়েছে বলে জানালেন এক পুলিশ অফিসার।

উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া হটস্পট বলে চিহ্নিত। আর জি কর রোডের দু'ধারে পুলিশি নজরদারি রয়েছে। বেলগাছিয়া ফ্লাইওভারের নিচে বস্তি অঞ্চলের রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওষুধ কিনতে আসা শহিদ আখতার বলেন, 'এলাকা পুরোপুরি বন্ধ। সোমবার বোর থেকেই প্রচুর পুলিশ রয়েছে। নজরদারিও বেড়েছে। লকডাউন মানতে এখানকার বাসিন্দারা এবার বাধ্য।'

Read  the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

kolkata Lockdown
Advertisment