ভর্তুকি দিয়ে রেশন দোকান থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, রেশনে আজ থেকেই মিলবে সুলভে পেঁয়াজ। শহরের ৯৩৫টি রেশন দোকান ছাড়াও ভর্তুকিতে পেঁয়াজ বিক্রির ক্ষেত্রে ৪০৫টি খাদ্য সাথীকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। খাদ্য সাথীতে পেঁয়াজ বিক্রির ক্ষেত্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাজে লাগানো হবে হবে। সরকারি এক আধিকারিকের কথায়, 'রেশন দোকানে কেজি প্রতি ৫৯ টাকা দরে পাওয়া যাবে পেঁয়াজ। আপাতত পরিবার পিছু ১ কেজি করে পেঁয়াজ রেশন থেকে মিলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। '
কলকাতার খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দর ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি। ফলে, পেঁয়াজ ছাড়াই আপাতত সাড়তে হচ্ছে রসনার যাবতীয় আয়োজন। জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই পরিস্থিতিই থাকবে বলে মনে করছেন রাজ্য সরকার গঠিত বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রক টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে। তাঁর কথায়, ‘নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক থেকে বাংলায় পেঁয়াজ ঢুকবে। ফলে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে মনে করছি।’
আরও পড়ুন: আজ থেকে রেশন দোকানে কমদামে মিলবে পেঁয়াজ
পাইকারি বাজারে কুইন্টাল প্রতি পেঁয়াজের চড়া দামা। ফলে খুচরো বাজারেও তার অগ্নিমূল্য। দামের গুঁতোয় মধ্যবিত্ত বাঙালি পেঁয়াজ কেনা ভুলতে বসেছে। চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় খুচরো বিক্রেতারা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। দাম না কমা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলাতে রাজি নন তারা। শহরের এক বাজারেরে পেঁয়াজ বিক্রেতা রবি সাউয়ের কথায়, ‘মাত্র ৬ কিলো পেঁয়াজ বিক্রির জন্য রেখেছিলাম। কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে না। পড়ে থাকতে থাকতে এক কেজি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পুরটাই লোকসান।’
পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। এর জন্য পেঁয়াজের কম ফলনকেই দায়ী করেছে কেন্দ্র। অবস্থার বদলে প্রয়োজনীয় আমদানি ও মজুতদারির ঊর্ধ্বসীমায় রাশ টানেছে কেন্দ্র। তবে, পেঁয়াজের দাম নিয়ে তাঁর পরিবারের তেমন মাথা ব্যথা নেই বলে সংসদে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। রাজ্য সরকার সুলভে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। সোমবার থেকে রেশন দোকানে মিলবে কেজি প্রতি কম দামে পেঁয়াজ। সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘পাঁচ কুইন্টাল করে পেঁয়াজ প্রতিটি রেশন দোকানে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে কেজি প্রতি ৫৯ টাকায় পেঁয়াজ মিলবে।’
সরকার ইতিমধ্যেই কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনে তা বিক্রি করতে উদ্যোগ নিয়েছে। ।পশ্চিমবঙ্গ সরকার জাতীয় কৃষি সমবায় বিপণন ফেডারেশনকে ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানির বরাত দিয়েছে। জানা গিয়েছে তা ডিসেম্বরের শেষ দিকে রাজ্যে আসবে।
Read the full story in English