চার পুরনিগমের ভোটের ফলের দিন যেখানে সর্বত্র সবুজ ঝড়, তৃণমূলের জয়জয়কার, সেদিনই হাজরায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতাকে চোর বলে আক্রমণ আশুতোষ কলেজের পড়ুয়াদের একাংশের। মেজাজ হারালেন বিজেপি নেতা, গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে গেলেন তিনি। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় এদিন।
শিলিগুড়ি থেকে বিধাননগর, আসানসোল থেকে চন্দননগর, রাজ্যের চার পুরনিগমেই তৃণমূলের দখলে চলে গেল সোমবার। তার মধ্যেএদিন পুলওয়ামার তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আশুতোষ কলেজের মোড়ে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিন বছর আগে আজকের দিনই পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। সেই স্মৃতিতে এদিন শ্যামাপ্রসাদ মেমোরিয়াল হলে একটি অনুষ্ঠান ছিল।
সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসেন শুভেন্দু। তারপর শহিদদের ছবিতে মাল্যদান করে তিনি সেখান থেকে বেরনোর সময় বাঁধে গন্ডগোল। অভিযোগ, পড়ুয়াদের একাংশ তাঁকে উদ্দেশ্য করে চোর চোর বলতে থাকে। স্লোগান দিতে থাকে, ‘চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা।’
আরও পড়ুন ‘হারের দায় নিয়ে কার পদত্যাগ, অসহায় মজুমদার না ভার্চুয়াল চক্রবর্তীর’, কটাক্ষ জয়প্রকাশের
এটা শুনেই মেজাজ হারান শুভেন্দু। গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে যান বিক্ষোভকারীদের দিকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেখানে। বিজেপি নেতার নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর হাতাহাতির পর্যায়ে যাওয়ার আগে গাড়িতে করে বেরিয়ে যান শুভেন্দু। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর টুইট করেন বিরোধী দলনেতা। টুইটে তাঁর অভিযোগ, “পুলওয়ামা দিবসে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুর কেন্দ্রের আশুতোষ কলেজ মোড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছে।”
উল্লেখ্য, এদিন টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘লোকতন্ত্রের লজ্জা !!!’ পুরনির্বাচন প্রহসন’। চার পুরনিগমে ফলাফল প্রমাণ করে পুর নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।’