ভাঙছে টালা ব্রিজ, ফুটব্রিজের গণদাবি

সপ্তাহের শুরুর দিনই টালা ব্রিজে পোস্টার পড়েছে হাঁটার বিকল্প পথ নিয়ে-"অবিলম্বে ফুটব্রিজ চাই"।

সপ্তাহের শুরুর দিনই টালা ব্রিজে পোস্টার পড়েছে হাঁটার বিকল্প পথ নিয়ে-"অবিলম্বে ফুটব্রিজ চাই"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বন্ধ হয়েছে টালা ব্রিজ। ইতিমধ্যে ভাঙাভাঙিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর একটাই প্রশ্ন, এবার শ্যামবাজার যাব কীভাবে? এদিকে, টালা ব্রিজ বন্ধ হওয়ার পর বিটি রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাই এখন সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কলকাতা পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিটি রোড ও গিরিশ ঘোষের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

Advertisment

publive-image চলছে ভাঙার কাজ

কিন্তু টালা ব্রিজ দিয়ে নিত্যদিন কয়েকশো মানুষ হেঁটে পারাপার করতেন। অন্য পথ ব্যবহার করলে তাঁদের এতটাই ঘুরপথ হচ্ছে যে বাচ্চাদের জন্য তা অত্যত্ন কষ্টকর হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। তাঁদের দাবি, 'আমাদের হাঁটার বিকল্প রাস্তা চাই'। সপ্তাহের শুরুর দিনই টালা ব্রিজে পোস্টার পড়েছে হাঁটার বিকল্প পথ নিয়ে-"অবিলম্বে ফুটব্রিজ চাই"।

Advertisment

publive-image ব্রিজের ঢালু দিক ভাঙা হবে প্রথমে

টালা ব্রিজ ভাঙার জন্য ছয়টি জেসিবি মেশিন আনা হয়েছে। প্রথমে এক কোমড় সমান পিচের পুরু আস্তরণ তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে জেসিবি 'রকব্রেকার' দিয়ে ভাঙার কাজ চলছে।  গার্ডরেল দিয়ে ব্রিজের দুই প্রান্ত আটকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্রিজে ওঠার সিঁড়ি দিয়ে এখনও মানুষ চলাচল করছে। একপাশে জেসিবির 'রকব্রেকার' প্রকট শব্দ করে ভেঙে চলেছে, আর এর পাশ দিয়েই হেঁটে যাচ্ছে এলাকাবাসী-সহ স্কুল পড়ুয়ারা।

publive-image সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসী

টালা ব্রিজ এলাকার আদর্শ মাধ্যমিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রের কথায়, "ব্রিজ বন্ধ হয়ে গেলে পাইকপাড়া থেকে অনেকটা ঘুর পথে স্কুল আসতে হবে। রেললাইন টপকাতে পারব না।  ফুটব্রিজের ব্যবস্থা করে দিলে এতটা ঘুরতে হত না। গরমকালে খুব কষ্ট হবে"।এলাকার বাসিন্দা শুভজিৎ পাল বলেন, "এখানে ক্রসিং পেরোতে গেলে রেল পুলিশ ৫০০ টাকা জরিমানা করে। অনেকটা রাস্তা ঘুরতে হচ্ছে। একটা বিকল্প ব্যবস্থা করে ভাঙার কাজ শুরু করলে সুবিধা হত"।

publive-image উপড়ে ফেলা হচ্ছে পিচের পুরু আস্তরণ

এক ইঞ্জিনিয়ার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "ব্রিজের ঢালু অংশ প্রথমে ভাঙা হবে। এরপর মাঝের অংশ। ২৪ ঘণ্টা টানা কাজ করার চেষ্টা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগমী একমাসের মধ্যে ঢালু অংশের অনেকটাই ভেঙে ফেলা সম্ভব হবে"।

publive-image পোস্টার সাঁটলেন বাসিন্দারা

এদিকে, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে চলতি বছরের মাধ্যমিক। ১২ মার্চ থেকে শুরু উচ্চ মাধ্যমিকও। ফলে উত্তর কলকাতায় যান চলাচল নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। মাধ্যমিকের সময় মধ্যকলকাতা ও উত্তর কলকাতার মধ্যে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তারা।

publive-image গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ রাস্তা

টালা ব্রিজ সংলগ্ন ২০টি স্কুল মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র হচ্ছে ১১টি স্কুল। ওই স্কুলগুলির সামনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয়েছ। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, গিরিশ অ্যাভিনিউ যানজট-মুক্ত রাখতে কয়েকটি বাসের টার্মিনাস সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

kolkata