শনিবার সন্ধ্যায় টেরিটি বাজার এলাকায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। ফলে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রে আনে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা সওয়া সাতটা নাগাদ টেরিটি বাজার এলাকার ১৫ নম্বর গ্যাঞ্জেন লেনে তিনতলা একটি বাড়ির ছাদে প্রথমে আগুন দেখেন স্থানীয়রা। তখনই খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন বাড়িটি থেকে বাসিন্দাদের নামানো হয়। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাড়ির তিনতলায় পাঁচ জনের একটি পরিবার থাকত। বাড়ির টিনের চালটি পুরোপুরি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকায় চারপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। সরু গলি ও ধোঁয়া হওয়ায় দমকলকে আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেঘ পেতে হয়। সময় গড়াতেই টেরিটি বাজারে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, 'দমকল ভালো কাজ করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। হতাহতের খবর নেই। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে।'
আগুন নেভাতে দমকলের তরফে ঘন্টাখানেক ধরে বাড়িটির নীচ থেকে ও আশপাশের বাড়ি থেকে জল দেওয়া হয়। আগুন বেশিক্ষণ জ্বলতে থাকলে ওই বাড়িটি সম্পূর্ণ ধসে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে সেবসব কিছু ঘটেনি।
কী ভাবে টেরিটি বাজার এলাকার বাড়িটিতে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়। দমকলের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি। স্থানীয়দের বেশ কয়েকজনের দাবি, তাঁরা সিলিন্ডার ফাটার শব্দ পেয়েছেন ১২০ বছরের পুরনো বাড়ি থেকে। ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দু'টি সিলিন্ডার। তবে গ্যাস সিলিন্ডারগুলি ফাটেনি বলেই দমকল সূত্রে খবর। দগ্ধ বাড়ির একাংশের বাসিন্দার দাবি, প্রোমটিংয়ের জন্য শনিবার আগুন লাগানো হতে পারে।