সোমবার রাতে কলকাতা হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিতেই প্রেসিডেন্সে জেলে গভীর রাতে নিয়ে যাওয়া হয় ফিরহাদ হাকিম-সহ চার নেতা-মন্ত্রীকে। জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিরহাদ। কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে না পারার জন্য আক্ষেপ ঝরে পড়ে তাঁর গলায়।
রাতে তিনি বলেন, "আইনের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্তি পাব। বিজেপি, ইডি, সিবিআই সব কিনে নিতে পারে। কিন্তু দেশের আইন মুখ বন্ধ করে থাকবে না। আইনের মধ্যে দিয়ে আমরা ন্যায়-বিচার পাব। পপুলার হওয়াটা কোনও অন্যায় নয়, আমি পপুলার। তাই হাজার হাজার মানুষ আমার সমর্থনে এসেছে। আমি সিবিআইকে সহযোগিতা করেছি, ভাল ব্যবহার করেছি। তাহলে আমার দোষ কোথায়? আমি জামিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমাকে কোভিড মোকাবিলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কলকাতার মানুষকে আমায় বাঁচাতে দিল না।"
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ বোধ করায় ফের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হল নারদ কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। এদিন গাড়িতে করেই নিয়ে আসা হয় তাঁকে। হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকের সামনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাতি নাড়িয়ে সংযত থাকতে বলেন তিনি। এর আগে সোমবার ভোর রাতে সুব্রতবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়। কিন্তু কোনও পরীক্ষা না করিয়ে ফের জেলে ফিরে যান তিনি।
প্রসঙ্গত, শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে এসএসকেএমের উডবার্ন ব্লকে ভর্তি মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়। এখন তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে সকাল থেকেই প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত করতে থাকেন। জেলের বাইরে আঁটসাঁট নিরাপত্তা পুলিশের। সকালে জেলের সামনে আসেন ফিরহাদ হাকিমে বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম। গতকাল রাতে বাবার গ্রেফতারি নিয়ে তিনি বলেন, "এটা প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহের ষড়যন্ত্র। গণতান্ত্রিকভাবে বাংলায় ভোটে জিততে না পেরে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাদের গ্রেফতার করছে আর রাজ্য অশান্তি সৃষ্টি করে রাষ্ট্রপতি শাসনের ফাঁদ তৈরি করছে।"