তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল দমদমের কাদিহাটিতে। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় থমথমে এলাকা। তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে যুযুধান দুই দলের কর্মীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে দমদম পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা প্রণব রায়ের। ঘটনায় আহত উভয় পক্ষের ১৪ জন। দু'তরফই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
রবিবার বিকেলে কাদিহাটিতে দলীয় পোস্টার, ব্যানার লাগাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ ওইসব ব্যানার, পোস্টারে তুলে ধরা হয়েছিল। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এই সময়ই হঠাৎ-ই একদল তৃণমূল কর্মী, সমর্থক এসে তাদের ব্যানার, পোস্টার খুলে দিতে বলে। তা অসস্বীকার করতেই মারধর শুরু করে শাসক দলের কর্মীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুভাষ বসু বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবেই দুপুর থেকে দলীয় ব্যানার, পোস্টার বাঁধছিল ছেলেরা। অচমকাই ১৫-১৬ জন তৃণমূল কর্মী এসে আমাদের ছেলেদের মারধর শুরু করে। কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকে।' তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পুরপিতা প্রণব রায় ও তাঁর ভাই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূল রিগিং করেছে, আমাদের এজেন্টরা ভয়ে কথা বলেননি, আসল লড়াই একুশে: দিলীপ ঘোষ
প্রতিপক্ষের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। উল্টে তাদের দাবি, বিজেপির ব্যানার, পোস্টারে রাজ্যের অশান্তি ছড়ানোর উস্কানি ছিল। তারই প্রতিবাদ করেছিল তৃণমূল কর্মীরা। তারপরই জোড়াফুলের কর্মীদের উপর হাত তোলে পদ্ম শিবিরের লোকেরা। এরপরই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়।
আরও পড়ুন: মুকুলের ভূমিকায় সফল মমতা
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই দমদমমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পুরপিতা প্রণব রায়ের দাবি, 'বিজেপির বেশ কয়েকটি পোস্টারে লেখা ছিল এলাকার তৃণমূল কর্মীরা বেআইনি অস্ত্র মজুত করেছে। সেগুলি ঝাড়খণ্ড থেকে আনা হয়েছে। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছিল। আমাদের এক কর্মী এর বিরোধিতা করেছিল। তারপরই বিজেপির লোকেরা মেরে তার হাত ভেঙে দিয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা আগে মারধর করেনি।'
অবস্থা হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে আপাতত সরগরম দমদম। তৃণমূল বিজেপি উভয়ই নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Read the full story in English