রাখি নিয়েও রাজনৈতিক তরজা! কলকাতার বুকে আফগানদের রাখি পরিয়ে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিতে চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পড়শি দেশের বিপদের সময়ে পাশে দাঁড়াতে কাবুলিওয়ালাদের রাখি পরিয়ে সৌজন্য দেখিয়েছিলেন শাসকদলের কর্মীরা। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হল। বিতর্কে জড়াল রাখিবন্ধন কর্মসূচিও।
রবিবার বাগুইআটিতে সকালে এলাকার আফগান বাসিন্দাদের রাখি পরান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। রাস্তায় পথচলতি বহু মানুষকেও রাখি পরিয়ে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু রাখিগুলোর মধ্যে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। আর তাতে বাংলায় লেখা, 'দিল্লি চলো'। রাজনৈতিক স্লোগান লেখা রাখি পরিয়ে তৃণমূল সৌজন্যের বদলে রাজনীতির বার্তা দিয়েছে বলে কটাক্ষ বিজেপির।
২০২৪-এর লক্ষ্যে বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূলের এখন টার্গেট, 'দিল্লি চলো'। আর সেই স্লোগানই কি না রাখিতে লেখা। তাও আবার মমতার ছবি দিয়ে। একে বাংলার সংস্কৃতির অপমান হিসাবে দেখছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও কটাক্ষকে উড়িয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, সমর্থকদের উচ্ছ্বাস প্রতিফলিত হয়েছে। তবে বিজেপিও রাখি বন্ধন উৎসব সর্বত্র পালন করেছে। কিন্তু 'দিল্লি চলো' রাখি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন কাবুলে আটকে দত্ত বাড়ির ‘আফগান বউ’, চিন্তায় কলকাতায় বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন স্বামী
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু কটাক্ষ করে বলেছেন, রাখিবন্ধন আমাদের দেশের একটা বড় উৎসব। বাংলার সংস্কৃতির যোগ রয়েছে এর সঙ্গে। সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেওয়া হয় এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে। তার সঙ্গে রাজনীতি জুড়ে বাংলার সংস্কৃতির অপমান করা হয়েছে। তবে পাল্টা তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপি কর্মীরাও বড়বাজার-পোস্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া রাখি বিলি করেছে। তাতে রাজনীতি নেই?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন