Bengal Covid: করোনার থাবা এবার রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে। চলতি সপ্তাহেই আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। এবার সংক্রমিত হলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং দলীয় কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাধনা বসু সংক্রমিত হয়ে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি সোমবার পুরসভার মেয়র পারিষদদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁর সংক্রমিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যানদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ে। যদিও তাঁদের প্রত্যকেকে নমুনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রয়োজনে আইসোলেশনে থাকতে বলেছেন কলকাতার মেয়র। তবে শুধু শাসক দলের বিধায়ক কিংবা কাউন্সিলর নয়, করোনা ঢুকেছে ছোট লাল বাড়ির অন্দরে। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভায় মেয়রের ঘরে কর্মরত এক কর্মীর সংক্রমণও ধরা পড়েছে। এই আবহে রাজ্যে ফের কোভিড শয্যা বাড়াতে তোরজোড় শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর।
এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালকে পুরোপুরি কোভিড কেয়ার ইউনিটে পরিণত করতে উদ্যোগ নিল দফতর। কোন সরকারি দফতরে, কত বেড নির্দিষ্ট করা হবে। সে নিয়ে এদিন বৈঠক হয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের।
এদিকে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ব্যাপক বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু। সোমবার রাজ্যে সংক্রমিত ছিল সাড়ে ৪০০-র নীচে। বুধবার সেই সংখ্যা হাজার ছাড়াল। একদিনে বাংলায় সংক্রমিত ১০৮৯, মৃত ১২। রাজ্যে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮৩২ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩৩%। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।
বাংলায় এই মুহূর্তে সক্রিয় সংক্রমণ ৭৭২৭। একটা সময় সাড়ে ৭ হাজারের নীচে ছিল অ্যাক্টিভ সংক্রমণ। বাড়ল আক্রান্তের হার। রাজ্যে এই মুহূর্তে আক্রান্তের হার ২.৮৪%। জানা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত জেলা কলকাতা। শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৫৪০ জন। তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা ১৪৫ এবং হাওড়া ৭৯। এদিকে, রাজ্যে যখন করোনার দৈনিক সংক্রমণের হাইজাম্প, তখন নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত ৫ জন। এঁদের নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত ১১ জন। জানা গিয়েছে ৫ আক্রান্তের একজন বাদে বাকিদের বিদেশ সফররের ইতিহাস নেই। তাহলে কীভাবে তাঁরা সংক্রমিত হলেন? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। যদিও তাঁদের একটি অংশের দাবি, ‘গোষ্ঠী সংক্রমণের জেরেই ৪ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে।‘
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে খবর, আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন কলকাতা, একজন দমদম এবং একজন হাওড়ার বাসিন্দা। রাজ্যের তরফে মোট ১০৭ জনের নমুনা জিন বিন্যাসে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকে ৫ জনের দেহে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ভয় ধরাচ্ছে ওমিক্রন। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে কী স্কুল, কলেজ সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলা থাকবে? চালু থাকবে ট্রেন? বুধবার সাগরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এপ্রসঙ্গে বড় ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন