ওড়িশার বালাসোর অতিক্রম করেছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ক্রমশ তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপর। এই ঘূর্ণিঝড় বাংলায়প্রবাব বিস্তারের পরই দুপুর ১২টা বা তার পর কলকাতায় টর্নেডো হতে পারে বলে আশঙ্কা। এই সময়ে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার হালিশহর ও ব্যান্ডেলে আচমকাই টর্নেডো হয়। যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তছনছ হয়েছে এই দুই এলাকা। লন্ডভন্ড হয়ে যায় গাছপালা, দোকানপাট। ভেঙে পড়েছে বাড়ি। এই টর্নেডোর জেরে দু'জনের প্রাণহানিও হয়েছে।
আরও পড়ুন- Live: বালেশ্বরের দক্ষিণ আছড়ে পড়ল সাইক্লোন ইয়াস, বাংলার ১০ জেলায় মোতায়েন সেনা
বুধবার নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা আগেই ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ধামড়ায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সেই সময় ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৩০-১৪০ কিমি। অনুমান ইয়াসের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় প্রায় ১৫৫-১৬০ কিমি। ইতিমধ্যেই ইয়াসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড দিঘা-মন্দারমণি। বেড়েছে জলস্তর। বিভিন্ন গ্রাম জলমগ্ন। ভাঙছে বাঁধ। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ ১০ জেলার ইয়ান আছড়ে পরার আগেই মোতায়েন করা হয়েছে সেনা।
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেছেন, 'পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি নদীবাঁধ ভেঙেছে। গোসাবা একাধিক গ্রাম প্লাবিত। ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিঘা, শংকরপুর এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৩.৮ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। ১৫ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। প্রয়োজন না থাকলে কেউ বাড়ির বাইরে যাবেন না।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন