শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়ে ট্রেন যাত্রার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞাতার সাক্ষী কলকাতার এক আইন কলেজের একদল পড়ুয়া। পদুচেরিতে শিক্ষামূল ভ্রমণে গিয়েছিলেন যোগেশচন্দ্র ল'কলেজের ৭৭ জন পড়ুয়া। পদুচেরি থেকে ফেরার জন্য কোয়েম্বাটোর থেকে হাওড়াগামী তিরুবন্তপুরম এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। কামরায় ওঠামাত্রই বেশ কয়েকজন পড়ুয়া দেখতে পান তাদের সংরক্ষিত আসন দখল করে বলে রয়েছেন অন্য যাত্রীরা। বৈধ নথি দেখানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। উল্টে, অশালীন আচরণ ও ছাত্রীদের শ্লীলতাহানী করা হয় বলে অভিযোগ। কর্তব্যরত আরপিএফকে বিষয়টি জানালেও তিনি অভিযুক্তদের সাহায়তা করেন বলে দাবি আক্রান্তদের।
গত মঙ্গলবার আইন কলেজের পড়ুয়ারা হাওড়াগামী তিরুবন্তপুরম এক্সপ্রেস ধরেছিলেন কোয়েম্বাটোর থেকে। ট্রেনের এস-৬ কামরায় উঠতেই দেখা যায় ৩৭ জন পড়ুয়ায়ার সংরক্ষিত আসনে বসে রযেছেন বেশ কয়েকজন অবৈধ যাত্রী। তাদেরকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ করেন ওই পড়ুয়ারা। সেই অনুরোধে কাজ হয়নি। ট্রেনটি আরাকানা স্টেশনে পৌঁছালে বাধ্য হয়ে ওই যাত্রীদের বিরুদ্ধে আরপিএফের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: সিবিআই দফতরে শোভন, এবার সারদাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ প্রাক্তন মেয়রকে
অভিযোগ, এতেই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়। পড়ুয়াদের অনেককে অবৈধ ট্রেন যাত্রীরা মারধর, এমনকি ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্রান্ত ছাত্রীরা। এছাড়াও, ট্রেনের জানলা লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলেও দাবি পড়ুয়াদের। কর্তব্যরত এক আরপিএফ'কেও বিষয়টি জানানো হয়। অভিযোগ, তিনি কোনও সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। এরপর ট্রেনটি যখন চেন্নাইয়ে এসে পৌঁছায় তখন আইন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রেল দফতরেও ট্যুইটার এবং হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে তিরুবন্তপুরম এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনে পৌঁছালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যোগেশচন্দ্র ল'কলেজের পড়ুয়ারা। অনেক পড়ুয়ার চোখে মুখেই আতঙ্কের ছাপ। এই ঘটনার পর রেলের যাত্রী নিরাপত্তা ফের এরবার প্রশ্নের মুখে।