যত দিন এগোচ্ছে নিউটাউন-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এবার মৃত দুই গ্যাংস্টারের সঙ্গে আইএসআই যোগ খুঁজে পেয়েছে সিআইডি। এনকাউন্টার-কাণ্ডে ইতিমধ্যে ধৃত ভরত কুমার এবং সুমিত কুমার এই ভরত আর সুমিত একাধিক দুষ্কর্মে ভুল্লরদের লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করত। তাদের জেরা করে এই তথ্য হাতে পেয়েছেম তদন্তকারীরা। এমনকি, পরিচয় গোপন করে তারা পাকিস্তান গিয়েছিল। এমনটাই জেরায় জানিয়েছেন ধৃতেরা।
ভুল্লরদের সঙ্গে আইএসআইয়ের লিঙ্ক তৈরি করতে একটা ডিল হয়েছিল পড়শি দেশে। সেই ডিল মোতাবেক মাদকের পাশাপাশি বেআইনি অস্ত্র কারবারে কুখ্যাত হয়ে ওঠেন ভুল্লররা। এমনকি আইএসআই মারফৎ পাকিস্তানের একাধিক অস্ত্র কারবারীদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল জয়পালদের।
উত্তর-পূর্ব এবং পড়শি নেপাল-ভুটান-বাংলাদেশে অস্ত্রপাচারে বাংলাকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করত ভুল্লর ও তার গ্যাং। একাধিকবার এই রাজ্যে ছদ্মবেশে জয়পাল, যশপ্রীত এবং ভরত এই রাজ্যে এসেছিল। একইভাবে ছদ্মবেশে অস্ত্র ও মাদকের ডিল করতে ভিন রাজ্যেও যেত তারা। জয়পালদের ছদ্মবেশ ধারণে সাহায্য করত সুমিত কুমার। একাধিকবার পরিচয়পত্র দিয়ে আত্মগোপন করতে সাহায্য করেছ এই অভিযুক্ত। জেরায় এই তথ্য পুলিশকে দিয়েছে ধৃতেরা।
এদিকে, নিউটাউন-কাণ্ডে গ্রেফতার অমরজিত সিং নামে পাঞ্জাব পুলিশের এক কনস্টেবল। সড়কপথে অস্ত্র ও মাদক পাচারের সময় জয়পালরা অমরজিতের আইডি ব্যবহার করে তল্লাশি ছাড়াই নাকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারত। তদন্তে ধৃত ভরতের কাছ থেকেই মিলেছে অমরজিতের আইডি কার্ড।
অপরদিকে, নিউটাউন এনকাউন্টার-কাণ্ডে পুলিশের সন্দেহে থাকা সুমিত কুমার গ্রেফতার। শনিবার মোহালি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। সুখবৃষ্টি আবসনে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে দুই গ্যাংস্টারের মৃত্যুর পর তদন্তে নামে সিআইডি। দুই গ্যাংস্টারের বেডরুম থেকে উদ্ধার হয় সুমিত কুমারের আধার কার্ড এবং পাসপোর্ট নথি। এই সুমিত কুমারের নামেই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ভরত কুমার নামেও এক রহস্যজনক ব্যক্তির সন্ধান পায় সিআইডি।
প্রাথমিক অনুমান ছিল, সুমিত কুমার আর ভরত কুমার একই ব্যক্তি। কিন্তু মোহালিতে সুমিত গ্রেফতার হওয়ায় সেই ধারণা ভেঙেছে। পুলিশি জেরায় সুমিত স্বীকার করেছে, ভরতকে নিজের পাসপোর্ট ও অন্য নথি দিয়েছিল সে। সেই ভরত তাঁর নথি দিয়ে সুখবৃষ্টি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল। তদন্তে অনিল নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তাঁকেও খুঁজছে পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন