বাবুলকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বনাম আচার্য তথা রাজ্যপালের সম্পর্কের শৈত্য কি কাটতে চলেছে? যাদবপুরকাণ্ডের ২ দিন পর শনিবার কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে রাজ্যপাল দেখতে যাওয়ার পর এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন হাসপাতালে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করব’’। আচার্য-উপাচার্য কথোপকথনের বিষয়টি এদিন জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। জানা যাচ্ছে, হাসপাতালে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে একান্তে ১০ মিনিট কথা বলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ২৫ মিনিট হাসপাতালে ছিলেন রাজ্যপাল।
ঠিক কী জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানান, ‘‘মাননীয় রাজ্যপাল, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে খোঁজ নেন। ওঁদের আরোগ্য কামনা করেছেন। উনি বারবার বলেছেন, যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে ওই পদক্ষেপ করা ছাড়া উপায় ছিল না। উনি বলেছেন, আমাদের একসঙ্গেই কাজ করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করব’’।
আরও পড়ুন: ‘রাজীব কুমারের প্রাণহানির আশঙ্কা’!
আরও পড়ুন: ‘বাবুলের গায়ে যারা হাত দিয়েছে, তাদের হাত ভাঙব’, ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিলীপের
অন্যদিকে, এদিন হাসপাতালে গিয়ে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দেখা করতে এসেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে পুষ্পস্তবক দিয়েছি। বহু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে’’। বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘এরকম ঘটনা আগামী দিনে আর ঘটবে না’’।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ‘চরম হেনস্থা’র শিকার হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তবে পরিস্থিতি বেগতিক হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকার ব্যাপারে নারাজ হন উপাচার্য। এ নিয়ে রীতিমতো বাবুলের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কিও বাধে। সূত্রের খবর, উপাচার্যকে এও বলতে শোনা যায় যে তিনি পদত্যাগ করবেন কিন্তু পুলিশ ডাকবেন না। শেষমেশ প্রায় ৬ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর ক্যাম্পাসে গিয়ে বাবুলকে উদ্ধার করেন রাজ্যপাল। যাদবপুরে বাবুলকে ঘেরাও করে রাখার সময়েই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য।