Gariahat Double Murder: গড়িয়াহাট জোড়া হত্যামামলায় ধৃত দুই জনকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। ভিকি হালদার এবং শুভঙ্কর মণ্ডলকে ১৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে। সোমবার এই মামলার মূল অভিযুক্ত ভিকি-সহ তাঁর শাগরেদ শুভঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। খুনের পর থেকেই দক্ষিণ মুম্বইয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল এই দু’জন। সেই শহরের এক নির্মীয়মাণ বহুতলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ নিয়েছিল ভিকি।
প্রথম লকডাউনের আগে মুম্বইয়ে কাজ করেছিল সে, তাই হিন্দিতে ছিল পারদর্শী। বেশকিছু যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল। এবার তাই অপরাধের পর সেই যোগাযোগের সুত্র ধরে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ পায় ভিকি। কিন্তু তার মুম্বইয়ের পরিচিতরা অভিযুক্তের এই অপরাধ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ছিলেন না। এমনটাই ভিকিকে গ্রেফতারির সময় কলকাতা পুলিশকে জানান তাঁরা। এদিকে ১৮ অক্টোবরের ঘটনার পর ফোন ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিল ভিকি। ফলে তার হদিশ পেতে কালঘাম ছোটে পুলিশের। কিন্তু পুরনো নম্বরের সুত্র ধরেই তার সম্ভাব্য আশ্রয়স্থল খুঁজে বের করে কলকাতা পুলিশ।
ভিকির নম্বর ঘেঁটে মুম্বইস্থিত একাধিক ব্যক্তির ফোন নম্বর মেলে। তাঁরাই পুলিশকে ভিকির খোঁজ দেন। গ্রেফতারির পর ভিকি পুলিশকে জানায়, ‘খুনের পর কারখানায় গিয়ে টাকা নিয়ে হাওড়া থেকে মুম্বই যাওয়ার ট্রেনে ওঠে তারা। প্রথমে বিহারের কোনও স্টেশনে তাদের নামার পরিকল্পনা থাকলেও, পরে মুম্বইতেই পৌঁছয় ওই দুই জন। সেখান থেকেই পরিচিতের সুত্র ধরে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ জোটায় সে।‘
পাশাপাশি গড়িয়াহাট-কাণ্ডের আগেও একবার পুলিশের খাতায় নাম উঠেছে শুভঙ্করের। তারপর থেকেই সে বাড়িছাড়া ছিল। সেভাবে যোগাযোগ রাখতো না পরিবারের সঙ্গে। শুধু চলতি বছর পুজোর পর কয়েকঘণ্টার জন্য বাড়ি এসে আবার বাড়ি ছাড়ে শুভঙ্কর। তখন পাড়া-পরিবার কেউ ঘুণাক্ষরে টের পায়নি তার কীর্তি। কিন্তু ছেলে যে খুনি হয়ে যাবে! এটা কিছুতেই ভাবতে পারছে না এই অভিযুক্তের মা-বাবা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন