New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/Suruchi-Sangha.jpg)
ভাইরাল হওয়া চেকের ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেখানে নাম রয়েছে 'সুরুচি সংঘ' ক্লাবের।
বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারি চেকের ছবি টুইট করতেই সেটি ভাইরাল।
ভাইরাল হওয়া চেকের ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেখানে নাম রয়েছে 'সুরুচি সংঘ' ক্লাবের।
রাজনীতি নিয়ে বাংলার মাটি সদা সরগরম। চায়ের দোকান হোক অথবা ট্রেনে বাসে সর্বত্রই বাঙালীর চিন্তাভাবনায় রাজনীতি। এবার বাঙালির প্রাণের পুজো দুর্গাপুজোর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার রাজনীতি। সৌজন্যে একটি চেক। আর তা ভাইরাল হয়েছে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায়। চেক বির্তকে সরগরম এখন ‘পুজো রাজনীতি’।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি চেক নিয়ে শাসক-বিরোধী শিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক তর্জা দেখা দিয়েছে। ভাইরাল হওয়া চেকের ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেখানে নাম রয়েছে 'সুরুচি সংঘ' ক্লাবের। টাকার অঙ্কের ঘরে রয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। যাকে ঘিরে তরজা তুঙ্গে। চেকটিতে ডব্লিউবিএসইডিসিএল কনট্রাক্টর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের নাম রয়েছে।
Shocking!
This is @aroopbiswasaitc's Puja
A minister is organizing a Puja after taking money from contractors.
It is funny how @AITCofficial talks about honesty and transparency.
Why did the contractors give money to Power Minister Aroop Biswas's Puja?
What is the interest? pic.twitter.com/6NC2OwCOdm— Ritesh Tiwari (@IamRiteshTiwari) October 11, 2021
এদিকে সুরুচি সংঘের পূজো পরিচালনার দায়িত্বে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের মন্ত্রীর ক্লাবের নামে বিদ্যুত্ ঠিকাদার সংস্থার তরফ থেকে দেওয়া এত পরিমাণ অর্থের চেক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চেকটিতে তারিখের ঘরে ও লেখা রয়েছে ১২ অক্টোবর, ২০২১। যা থেকে প্রমাণ এই চেকটি চলতি বছরেরই। এই ঘটনায় শাসক দলকে তুলোধোনা করেছেন বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারি। এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। কী বলেছেন তিনি টুইটে? তিনি লিখেছেন, 'করোনা আবহে কেন এত টাকা পুজোর চাঁদা বাবদ ঠিকাদারদের থেকে নেওয়া হবে?’
অপর দিকে তাঁর এই টুইটকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ শাসক শিবির। ভাইরাল হওয়া এই চেকের বিষয়ে সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শিশির বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার হওয়া এই চেক দেখেছি, যেখানে আমার এবং কোষাধ্যক্ষের নাম লেখা রয়েছে। তবে একটা বিষয় আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিই, আমাদের সংস্থার অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকাই নেই'। এই বিষয়ে শাসকদলের বক্তব্য ‘এই ধরনের ঘটনা স্রেফ বিজেপির অপপ্রচার’। এবং এই চেককে 'ফলস চেক' বলেও দাবি করা হয়েছে শাসক শিবিরের তরফ থেকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন