বিধানসভা চত্বরে অভব্যতা, সাংবাদিকদের মারধরের জের। বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন স্পিকার। শুক্রবার বিধানসভার সচিব এই মর্মে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। স্পিকারের নির্দেশেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে গন্ডগোল করার।
উল্লেখ্য, গতকাল বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করতে আসেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার জন্য তাঁর কাছে যান। এরপরই সেখানে একটা হুড়োহুড়ি বাধে। অভিযোগ, সাংবাদিকদেরর সঙ্গে অসভ্যতা করেন জওয়ানরা। মারধরও করা হয় কয়েকজন সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিককে। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানান আক্রান্ত সাংবাদিকরা।
এরপরই এদিন স্পিকারের নির্দেশে বিধানসভার সচিব নয়া নির্দেশ জারি করেন। বিধানসভায় এবার থেকে প্রবেশ নিষিদ্ধ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির অন্য নেতারা জওয়ানদের নিয়ে বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না। এদিকে, শুক্রবার বিধানসভায় শপথ বাক্য পাঠ করে নীরবেই প্রস্থান করলেন আরেক বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তবে যাওয়ার আগে জল্পনা বাড়িয়ে বলে গেলেন, “আমি আজ কিছু কথা বলব না। যেদিন বলার সেদিন সবাইকে ডেকে আমি বলব।”
জানা গিয়েছে, বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকেও থাকছেন না মুকুল রায়। বৈঠকের আগেই বিধানসভা ছাড়েন তিনি। নব নির্বাচিত পরিষদীয় দলের বৈঠকে থাকছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু মুকুলের অনুপস্থিতি জল্পনা বাড়িয়েছে। এদিন শপথ গ্রহণের পর তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু পরে বলব কেন বললেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। তাহলে কি দলের প্রতি অভিমান হয়েছে মুকুলের? অন্তত গলায় তেমনই সুর শোনা গেল!