চলন্ত ট্রেনে তরুণীর শ্লীলতাহানি। শান্তিপুর থেকে শিয়ালদহ ফেরার পথে ট্রেনের ফাঁকা কামরায় তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ঘটনাটি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে তুলে ধরেন তরুণী। এরপর অভিযুক্ত যুবক ওই তরুণীকে মারধর করতে শুরু করে। এমনকী সেই সময়ে ট্রেনের চেন টানলেও দাঁড়ায়নি গাড়ি। শেষমেশ শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে জিআরপি-তে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই তরুণী।
ঘটনাটি শুক্রবার রাতের। জানা গিয়েছে, ওই তরুণী শিয়ালদহে ফিরছিলেন। মহিলা কামরাটি সেই সময় কার্যত ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। তখনই এক যুবক কামরায় উঠে মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন।
তরুণী বলেন, ''আমি মহিলাদের কামরায় সেই সময় একাই ছিলাম। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ জেগে দেখি একজন লোক আমাকে স্পর্শ করছে। তড়িঘড়ি আমি আমার মোবাইল ফোন নিয়ে ফেসবুক লাইভে গিয়ে ঘটনাটি তুলে ধরি। আমি লোকটিকে দেখাতে পেরেছি। ওই লোকটির আচরণ ফেসবুক লাইভে তুলে ধরতেই ফের সে আমার উপর চড়াও হয়ে শ্লীলতাহানি করে। আমাকে মারধর করে, আমার কাছে থাকা মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে।'' ট্রেন স্টেশনে ঢুকতেই ওই লোকটি নেমে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তরুণী।
জিআরপিতে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই তরুণী। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা শুরু হয়। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ''জিআরপি একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে। আমরা দোষীকে ধরার চেষ্টা করছি। শীঘ্রই সে গ্রেফতার হবে।''
আরও পড়ুন- ‘ফিরিয়ে দেওয়া হোক ওদের জগৎ’, স্কুল খোলার দাবিতে এবার সরব জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
এদিকে এই ঘটনার জেরে শহরতলীর ট্রেনগুলিতে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ''ট্রেনের মধ্যে কোনও সুরক্ষা থাকে না। কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণের মতো বিষয়গুলি নিয়ে কিছুই করছে না। তাই যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়।''
অন্যদিকে, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ''কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। দোষীকে আইনের আওতায় আনা না হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমাদের কাছে অভিযোগ জানাতে চাইলে স্বাগত। আমরাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।'' যদিও একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ওই তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।