/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/07/mamata-water-conservation.jpeg)
রাজ্য সরকারের কর্মসূচীর সঙ্গে এবার যোগ দিতে পারে যাদুকররাও
রাজ্য সরকারের 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' এবং 'জল ধরো, জল ভরো'-এর মতো কর্মসূচী সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে এবার নয়া ভাবনা পশ্চিমবঙ্গের জাদুকরদের সংগঠনের। শনিবার ম্যাজিক আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে প্রায় ১৭০ জন জাদুকর একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই ঠিক হয় জনমানসে কেবল সচেতনতা বৃদ্ধি নয়, এই কর্মসূচীর মাধ্যমে মৃতপ্রায় ম্যাজিক শিল্পকেও পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে। বৈঠক শেষে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে রাজ্যে একশোরও বেশি স্কুলগুলিতে যোগাযোগ করে সেখানে ম্যাজিক শো 'প্রজেক্ট' শুরু করার আবেদন জানানো হবে ম্যাজিক ফোরামের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: কী করতে হবে, কী করা যাবে না, নির্দেশ দেবেন মমতা
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁরা কলকাতা এবং কলকাতার বাইরেরও সব যাদুকরদের একত্র করে কাজ শুরু করার চেষ্টা করছেন। সুব্রতবাবু বলেন, "আমরা আমাদের শিল্পকে পুনরুদ্ধার করার জন্য যা যা করার সেটা চেষ্টা করছি। জাদুর মাধ্যমেই আমরা রাজ্য সরকারের সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মসূচীগুলিকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। রাস্তাঘাটের সুরক্ষা, বর্ষাকালে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ, জল সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপণের মতো বিষয়গুলিকে বাছাই করে সেগুলি নিয়ে আমরা জাদু শো করব"।
তবে পরিকল্পনাকে সফল করার জন্য প্রাথমিকভাবে শহরের স্কুলগুলিকে বেছে নিয়েছে ম্যাজিক ফোরাম। সেই প্রসঙ্গে সুব্রতবাবু জানান, তাঁরা হেরিটেজ স্কুল, ইন্ডিয়া ভ্যালি ওয়ার্ল্ড স্কুল, কারমেল হাই স্কুল, যোধপুর পার্ক হাই স্কুল, মহেশতলা হাই স্কুল, নব নালন্দা প্রাইমারি স্কুল, দিল্লি পাবলিক স্কুল জোকা, ডিএভি পাবলিক স্কুল এবং সেন্ট অগাস্টিন স্কুলের কাছে ম্যাজিক প্রজেক্ট শুরু করার বিষয়ে কথা বলবেন। এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে শিশুদের মধ্যে এই শিল্পটি নিয়ে একটা উৎসাহ তৈরি করবে। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে জাদুকররা বিনামূল্যেই স্কুলগুলিতে ম্যাজিক শো করবেন। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্কুলগুলির সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন ম্যাজিক ফোরামের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ফের গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ, ঘটনাস্থল নদিয়া
সুব্রতবাবুর কথায়, "আমাদের লক্ষ্য হল জাদুবিদ্যার কৌশলগুলি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করা, যা দিনের শেষে তাঁদের মানসিক চাপ মুক্ত করতেও সহায়তা করবে। তাঁদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে আমরা এই শিল্পকে পুনরুদ্ধারের জন্য স্কুলে ম্যাজিক কোর্স শুরু করার জন্য আমরা রাজ্য শিক্ষা বিভাগের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করব। এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করে বহু জাদুকররা, যাঁরা আর্থিক অনটনের মধ্যে আছেন, সেখান থেকে তাঁদের বের করে আনা সম্ভব হবে"। পেশায় আইনজীবী সুব্রতবাবু ২০১৮ সালে এই ফোরামটি প্রতিষ্ঠা করেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "আমাদের সদস্য সংখ্যা পাঁচশো হয়ে গেলেই আমরা রাজ্য সরকারের কাছে জাদুকরদের সার্টিফিকেট দিতে আবেদন করব। আমরা প্রশাসনের কাছে জাদুকরদের শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করার এবং তাঁদেরকে স্বীকৃত করে কিছু অনুদান দেওয়ারও আবেদন জানাব"।
Read the full story in English