মা-কে গলা কেটে খুন করল মেয়ে এবং জামাই, এমন ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার বকুলতলা এলাকার বাসুদেবপুর রোডে। নিহতের নাম শম্পা ঘোষ (৪৭)। সকালে গলা কাটা অবস্থায় নিজের বাড়ির সামনে পাওয়া যায় তাঁর মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের কথা পুলিশি জেরার মুখে স্বীকার করেছে নিহতর মেয়ে। জানা যায়, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন মৃতার মেয়ে এবং মেয়ের স্বামী।
আরও পড়ুন- আসানসোলে তৃণমূল কাউন্সিলর খুন
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শম্পা চক্রবর্তীর দেহটি একটি কাপড় দিয়ে সম্পূর্ণ মুড়িয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল বকুলতলা এলাকার বাসুদেবপুর রোডে। ওই রাস্তা সংলগ্ন একটি অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন শম্পা চক্রবর্তী। তদন্তে এই খবর জানতে পেরে পুলিশ সেই ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেখে সেটি বাইরে থেকেই বন্ধ। এমনকি দেখা মেলেনি পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গেও। এহেন পরিস্থিতিতেই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙেই ঢোকে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, "আমরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকি এবং খুনে ব্যবহৃত বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করি। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আমরা পরবর্তীতে শম্পাদেবীর মেয়ে এবং তাঁর জামাইকেও গ্রেফতার করি"।
আরও পড়ুন- শিলিগুড়ির রেললাইনের ধারে উদ্ধার হওয়া শিশু ফিরে পেল পরিবার
তবে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে এই খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে আটক করে। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশের কাছে খবর আসে যে ওই ফ্ল্যাট থেকে শনিবার রাতে বিশাল ঝগড়াঝাটির আওয়াজ প্রতিবেশীদের একাংশের কানে আসে। এরপর সবচেয়ে বড়ো তথ্যটি আসে ওই অ্যাপার্টমেন্টেরই অন্য এক প্রতিবেশীর থেকে। পুলিশ বলে, "ওই রাতে এক প্রতিবেশী শম্পা চক্রবর্তীর মেয়ে এবং জামাইকে কিছু একটা জিনিস কাঁধে করে নিয়ে ফেলতে দেখেন। তবে প্রথমে তাঁদের চিনতে না পেরে চোর সন্দেহে তিনি একটি ভিডিও করেন। যেখানে গ্যারেজের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায় তাঁদের। এরপর এই ভিডিওর সূত্র ধরে আমরা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জেরার মুখে শম্পাদেবী স্বীকার করেন যে তিনি এবং তাঁর স্বামী তাঁর মাকে গলা কেটে খুন করেছেন"।
Read the full story in English