কস্মিনকালেও কেউ ভাবতে পেরেছে মেয়ের বিয়েতে পুরোহিত হবেন তাঁর মা। কিংবা ডিসেম্বর মাসে বিয়ের ডেট না থাকা সত্ত্বেও নিজের ইচ্ছামতো দিন স্থির করে বিয়ে করবে কোনও বঙ্গ তনয়া? প্রচলিত রীতি-নীতিকে ভেঙ্গেই না হয় এবারের দুর্গাপুজোয় বরং উৎসব কম মাতৃবন্দনা হোক বেশি। করোনা আবহে এবারের পুজো প্রচলিত বছরের থেকে একেবারেই আলাদা। ঠিক যেমন মহিলা পুরোহিতদের গল্প।
সম্প্রতি উইন্ডোজ প্রযোজিত 'ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি' সিনেমার দৌলতে মহিলা পুরোহিতদের গল্প আমাদের সকলেরই কম বেশি জানা। দেবীপক্ষে সেই গল্পের সূত্র ধরেই আরেক গল্পে আসা যাক। গত বছর ডিসেম্বরে বিয়ে সেরেছিলেন দেবাঞ্জনা সরকার। দিন-ক্ষণ-শাস্ত্র কোনওকিছুই মানেননি। একেবারে নিজের সুবিধা দেখেই বিয়ে করেছিলেন। সে বিয়ের পৌরহিত্য করেছিলেন নন্দিনী ভৌমিক।
প্রফেসর ভৌমিকের সঙ্গে দেবাঞ্জনার আলাপ একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। নিজের মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন অধ্যাপিকা। দেবাঞ্জনা জানান, "সত্যিই আমি এর আগে কোনও মাকে দেখেনি তাঁর মেয়ের বিয়ে দেখতে। আর এখানে তো উনি নিজের মেয়ের বিয়েরই পৌরহিত্য করছিলেন।"
৬০ বছর বয়সি নন্দিনী ভৌমিক দীর্ঘদিনের নিয়ম ভেঙেছিলেন বহু বছর আগেই। আরও চার সদস্যকে নিয়ে তাঁর দল। কেবল বিয়ে নয়, শ্রাদ্ধ থেকে বহু ধর্মীয় উৎসবেও পৌরহিত্য করেন তাঁর দল। তবে কেবল বাংলায় নয়, ভারতেও আছেন এমন মহিলা পুরোহিতরা। যারা সমাজের বিপরীত স্রোতে হেঁটে চলেছেন বহু যুগ ধরে। শবরীমালার মতো ঘটনাও যাঁদের বিশ্বাসকে টলাতে পারেনি। দেবীপক্ষে তাঁরা বন্দিত হোক। শুভ হোক তাঁদের যাত্রা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন