সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষ দিক থেকেই বহু প্রতীক্ষিত কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরু করে দেবে কলকাতা পুরসভা৷ কালীঘাট মন্দিরের আশেপাশে থাকা অস্থায়ী দোকান সরানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে এমাসের শেষ দিক থেকেই৷ মাসখানেক পর থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ৷
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা থেকে হকারদের স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে হাজরা পার্কে। বহু প্রতীক্ষিত কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরু সময়ের অপেক্ষা বলেই জানা গিয়েছে৷ ওই এলাকা থেকে দোকানদের সরানো নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয়দের কথাবার্তা চলছিল৷ পুনর্বাসনের আশ্বাস নিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনের সদর্থক কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ ২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ২০১৮ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল৷ কিন্তু হকারদের স্থানান্তর সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। তবে জট কাটিয়ে এবার কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরুর মুখে৷ দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের স্কাইওয়াকের মতোই কালীঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াকও শহরের জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- আলিমুদ্দিনে উল্টো পতাকা তুলছিলেন বিমান! তড়িঘড়ি সামাল দিলেন সেলিম-সুজন
কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের মতে, ওই এলাকা থেকে হকারদের স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে হাজরা পার্কে। এর আগে, কেএমসি হাজরা পার্কে ১৭৪ জন হকারের জন্য স্টল তৈরি করেছিল৷ লটারির মাধ্যমে সেই স্টল বিতরণ করা হয়েছিল। তবে হকারদের একাংশের তরফে এক্ষেত্রে আপত্তি তোলা হয়েছিল৷ কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এবং রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার হকারদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ তাঁরা তৎপরতা নিয়েই হকারদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত অচলাবস্থার অবসান ঘটান।
কেএমসি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আলোচনার মাধ্যমে আমরা হকারদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি৷ তাঁরা স্থানান্তরিত হতে সম্মতও হয়েছে। হকাররা জানান, নতুন এলাকায় ব্যবসা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে তাঁদের সময় লাগবে৷ ব্যবাসায়িক ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কাও করেন হকারদের অনেকে৷ কেএমসি হকারদের প্রত্যেককে স্থানান্তরের খরচ হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে দেবে৷’’
উল্লেখ্য, কালীঘাট স্কাইওয়াক হবে ৩৫০ মিটার লম্বা এবং ১০ মিটার চওড়া। এই স্কাইওয়াক তৈরির ফলে শুধুই এলাকায় যানবাহন চলাচল মসৃণ হবে না, কালীঘাট মন্দিরে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও দারুণ সুবিধা হবে৷
Read full story in English