Advertisment

বহু প্রতীক্ষীত কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরু চলতি মাসের শেষেই

হকারদের সঙ্গে আলোচনা করে পুনর্বাসন সংক্রান্ত জটিলতা মিটিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ও স্থানীয় বিধায়ক দেবাশিস কুমার৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
devotees will be able to enter sanctum sanctorum of Kalighat from Thursday

কালীঘাট মন্দির

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষ দিক থেকেই বহু প্রতীক্ষিত কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরু করে দেবে কলকাতা পুরসভা৷ কালীঘাট মন্দিরের আশেপাশে থাকা অস্থায়ী দোকান সরানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে এমাসের শেষ দিক থেকেই৷ মাসখানেক পর থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ৷

Advertisment

কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা থেকে হকারদের স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে হাজরা পার্কে। বহু প্রতীক্ষিত কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরু সময়ের অপেক্ষা বলেই জানা গিয়েছে৷ ওই এলাকা থেকে দোকানদের সরানো নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয়দের কথাবার্তা চলছিল৷ পুনর্বাসনের আশ্বাস নিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনের সদর্থক কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ ২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ২০১৮ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল৷ কিন্তু হকারদের স্থানান্তর সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। তবে জট কাটিয়ে এবার কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরুর মুখে৷ দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের স্কাইওয়াকের মতোই কালীঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াকও শহরের জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- আলিমুদ্দিনে উল্টো পতাকা তুলছিলেন বিমান! তড়িঘড়ি সামাল দিলেন সেলিম-সুজন

কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের মতে, ওই এলাকা থেকে হকারদের স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে হাজরা পার্কে। এর আগে, কেএমসি হাজরা পার্কে ১৭৪ জন হকারের জন্য স্টল তৈরি করেছিল৷ লটারির মাধ্যমে সেই স্টল বিতরণ করা হয়েছিল। তবে হকারদের একাংশের তরফে এক্ষেত্রে আপত্তি তোলা হয়েছিল৷ কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এবং রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার হকারদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ তাঁরা তৎপরতা নিয়েই হকারদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত অচলাবস্থার অবসান ঘটান।

কেএমসি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আলোচনার মাধ্যমে আমরা হকারদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি৷ তাঁরা স্থানান্তরিত হতে সম্মতও হয়েছে। হকাররা জানান, নতুন এলাকায় ব্যবসা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে তাঁদের সময় লাগবে৷ ব্যবাসায়িক ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কাও করেন হকারদের অনেকে৷ কেএমসি হকারদের প্রত্যেককে স্থানান্তরের খরচ হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে দেবে৷’’

উল্লেখ্য, কালীঘাট স্কাইওয়াক হবে ৩৫০ মিটার লম্বা এবং ১০ মিটার চওড়া। এই স্কাইওয়াক তৈরির ফলে শুধুই এলাকায় যানবাহন চলাচল মসৃণ হবে না, কালীঘাট মন্দিরে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও দারুণ সুবিধা হবে৷

Read full story in English

kolkata Kolkata Skywalk Kalighat Kalighat temple
Advertisment