Writer Nabaneeta Dev Sen: বাংলা সাহিত্যের দিকপাল, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখিকা নবনীতা দেব সেনের জীবনাবসান হল ৭ নভেম্বর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। পদ্মশ্রী-সম্মানে ভূষিত লেখিকা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ কলকাতায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন নবনীতা দেবসেন।
নরেন দেব ও রাধারাণী দেবীর কন্যা, নবনীতা দেব সেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন।গোখেল মেমোরিয়াল স্কুল থেকে পাশ করার পর ভর্তি হন লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে। এরপরে প্রেসিডেন্সি কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছেন তিনি।পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য যান হারভার্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল ১৯৫৯ সালে।১৯৭৬ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।তাঁর দুই কন্যা বর্তমান - অন্তরা দেব সেন ও নন্দনা সেন। তাঁর রচনা অনূদিত হয়েছে পৃথিবীর একাধিক ভাষায়। ১৯৫৯ প্রথম বই ‘প্রথম প্রত্যয়’ প্রকাশিত হয়। নটী নবনিতা-র জন্য ১৯৯৯ সালে তাঁকে সাহিত্য অ্যাকাডেমি সম্মানে ভূষিত করে ভারত সরকার।
২০০০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই ছিল তাঁর মরদেহ। শুক্রবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে । তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলির মধ্যে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য - ভালোবাসার বারান্দা, হে পূর্ণ তব চরণের কাছে ও ট্র্যাকবাহনে ম্যাকমোহনে।নবনীতা দেব সেনের মৃত্যুতে শোকাহত সংস্কৃতি জগত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে শোকপ্রকাশ করেন। টুইটে মমতা লেখেন, ‘বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ নবনীতা দেবসেনের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ৮১ বছর বয়সে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অসংখ্য গল্প, কবিতা, রম্যরচনা ও উপন্যাসের স্রষ্টা নবনীতা দেবসেন পদ্মশ্রী, সাহিত্য অ্যাকাডেমি, কমলকুমারী জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করতেন। তাঁর প্রয়াণে সাহিত্য জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি নবনীতা দেবসেনের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।