সারা দেশের সঙ্গে কলকাতাতেও হবে ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকার ট্রায়াল। জাইডাস ক্যাডিলার ‘জাইকোভ-ডি’র ট্রায়ালে দেশব্যাপী মোট ১২০০ টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ। ১৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে এই ট্রায়াল চলবে। কলকাতায় সেই সংখ্যাটা প্রায় ১০০। জানা গিয়েছে, সব প্রস্তুতি শেষ। এখন শুধু স্বেচ্ছাসেবক পাওয়ার অপেক্ষায়।
ডিসিজিআই বা ড্রাগ কন্ট্রোলারের নিয়ম মেনে এই ট্রায়ালে অভিভাবকদের অনুমতি আবশ্যিক। পাশাপাশি জরুরিভিত্তিতে এই টিকা প্রয়োগেও আবেদন করতে পারে জাইডাস। ‘জাইকোভ-ডি’ হল ‘প্লাজমিড ডিএনএ’ টিকা। ট্রায়াল-সহ অনুমোদন চূড়ান্ত হলে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের শিশু-কিশোরদের জন্য এটি হবে ভারতের প্রথম টিকা।সংস্থাটি শিশু-কিশোরদের ওপর আগে ট্রায়াল চালিয়েছে। জাইডাস দাবি করেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তাদের তৈরি টিকার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধরা পড়েনি। যা একটা সদর্থক বিষয়। তা ছাড়া এই টিকার আরও একটা সুবিধা হল যে এতে সূচ ফোটানোর কোনও প্রয়োজন নেই।
এদিকে, টিকার দুটি ডোজ নিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রথম মৃত্যুর সন্ধান মিলল ভারতে। কেন্দ্রীয় এক কমিটি বলেছে, ‘৮ মার্চ টিকা নেওয়ার পর অ্যানাফিলেক্সিসের কারণে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।‘ চিকিৎসার পরিভাষায় অ্যানাফিলেক্সিস আদতে অ্যালার্জি।
কেন্দ্রীয় ওই কমিটির প্রধান এনকে অরোরা পিটিআইকে বলেছেন, ‘এটাই অ্যানাফিলেক্সিসের কারণে প্রথম মৃত্যু। এই কারণেই টিকা নেওয়ার পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলা হয়। অ্যালার্জি সংক্রান্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এই আধ ঘণ্টার মধ্যেই দেখা যায়। আর সেই সময়ে চিকিৎসা হলেই মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।‘ জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩১টি এই ধরনের ঘটনা কমিটির সামনে এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে ৫টি, ৯ মার্চ ৮টি এবং ৩১ মার্চ ১৮টি।
কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লক্ষ টিকাকরণে ২.৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আর ৪.৮ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর মিলেছে। তবে টিকাকরণের জন্যই এই মৃত্যু বা চিকিৎসাধীন হওয়ার ঘটনা, এমনটা নয়। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের মাধ্যমেই আসল কারণ জানা যাবে। টিকাকরণ এবং অসুস্থতা-মৃত্যুর মাঝে ঠিক কী ঘটেছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন